মোঃ ইমদাদুল হক রানা : দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ স্বেচ্ছায় রক্ত দান করলে রক্তের নিয়মিত চাহিদা পূরণ সম্ভব বলে মন্তব্য করেন রোমানা কবির। তাঁর মতে, নিরাপদ রক্ত সঞ্চালনের ব্যবস্থা আরও জোরদার করে শতভাগ রক্তের চাহিদা মেটাতে স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা অতিব জরুরি।
শনিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে অবস্থিত বহরপুর ডিজিটাল মেডিকেল সেন্টারে স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে এসে একথা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব মহিলা লীগ রাজবাড়ী জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহিলা পরিষদ নেতা রোকানা কবির।
বহরপুর হেল্প লাইন এই রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন করেছে।
স্বেচ্ছায় রক্তদান কালে বহরপুর হেল্পলাইন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রোমানা কবির, বহরপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আক্তারুজ্জামান (আকা), বহরপুর ডিজিটাল মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক মোঃ রাজিব হোসেন, মোঃ মিন্টু, রনি সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সকলের জ্ঞাতার্থে জানানো হয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কর্মসূচির পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা বিগত ১০ বছরে ১০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যেখানে বাইরের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় স্বেচ্ছায় রক্তদানের হার শতভাগ। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই হার ৬৫ শতাংশ। এই জায়গায় বাংলাদেশ এখনো অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু।” ভূপেন হাজারিকার কণ্ঠে যখন এই গানটি বেঁজে ওঠে, আর সমাজের নিচুতলার মানুষের দিকে নজর পড়ে তখনই মনে হয় মানুষ কতটা অসহায়। সমাজের এই অসহায় মানুষের মুখের পানে চেয়ে সকল প্রকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে আমি এগিয়ে আসি।
সারাদিন পবিত্র রমজানের রোজা রাখার পরও একজন রোগীর রক্ত লাগবে শুনতে পেরেই ইফতার সেরে ছুটে আসি বহরপুর ডিজিটাল মেডিকেল সেন্টারে।
রোগী সুস্মিতা গোস্বামীর (২৪) স্বামী শ্রী সঞ্জিব গোস্বামী সঞ্জয় বলেন, আমার স্ত্রী অন্তঃসত্তা। সে রক্ত স্বল্পতায় ভুগছে। এদিকে “ও” নেগেটিভ রক্ত মিলানো কঠিন। জানতে পারলাম বহরপুর হেল্প লাইনের সভাপতি ও রাজবাড়ী জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোমানা কবির রক্তদান করে থাকেন। তাঁকে বলতেই তিনি রোজা আছেন, ইফতারের পর রক্ত দিতে পারবেন বলে জানান। এবং তিনি সন্ধ্যার পর এসে স্বেচ্ছায় একব্যাগ রক্তদান করেন। আমি তাঁর নিকট কৃতজ্ঞ।
রক্তদানকারী মহিলা নেতা রোমানা কবির বলেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক। যেমন বঙ্গবন্ধু দেশের সকল মানুষের সাথে নিয়ে একত্রে সুন্দরভাবে বাঁচতে চেয়েছিলেন। আমিও চাই আমার আশ পাশের সকলকে সাথে নিয়ে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে।