গোয়ালন্দ সংবাদদাতা: রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখমের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে উপজেলার বাহিরচর দৌলতদিয়া সাত্তার মেম্বার পাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন– ওই এলাকার মো. মামুন শেখ (৩৫), তার মামা শ্বশুর মুলচাঁদ মোল্লা (৪৫) এবং মামী শাশুড়ি লিপি বেগম (৩৫)। বর্তমানে তারা গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামুন শেখের স্ত্রী মোছা. ঝর্না বেগম গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন– বাহিরচর দৌলতদিয়া সাত্তার মেম্বার পাড়ার খোরশেদের ছেলে মো. রানা (১৯), মো. সোহেল (২৩), শহিদের ছেলে মো. হৃদয় (২০) ও মো. কাসাই শেখ (৬০)।
ঝর্না বেগম জানান, অভিযুক্তদের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার সকালে তার ছেলে শাওন প্রতিবেশী সোহেলদের বাড়ির দিকে গেলে সোহেল তাকে থাপ্পর দেয়। শাওন বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানালে তার স্বামী মামুন শেখ প্রতিবাদ করতে অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে যান। তখনই সোহেল ও তার সঙ্গীরা মামুন শেখের মাথায় ধারালো ছোল দিয়ে কোপ দেয় এবং লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।
চিৎকার শুনে মামুনের মামা শ্বশুর মুলচাঁদ মোল্লা ও মামী শাশুড়ি লিপি বেগম ঘটনাস্থলে ছুটে এলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। ধারালো ছোল দিয়ে মুলচাঁদ মোল্লার মাথায় কোপ মেরে গুরুতর আহত করা হয় এবং লিপি বেগমকেও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়।
ঝর্না বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি চিৎকার শুনে এগিয়ে গেলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ”