Saturday, November 9, 2024

দৌলতদিয়ায় পাঁড়ের অপেক্ষায় শত শত পণ্যবাহী যানবাহন 

দেশের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে তীব্র যানযটের কারনে নাকাল হয়ে পড়েছে অপেক্ষেয়মান যাত্রী সহ

ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চালকেরা। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে তাদের যাত্রা পাড়ের জীবন।
নদীতে তীব্র স্রোত, নদী ভাঙনের কারনে  ঘাটের সংখ্যা কমে আসা এবং দুই নৌরুটের যানবাহন পার হচ্ছে দেশের ব্যাস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। ফলে দেখা দিয়াছে তীব্র যানজটের। আর এই যানজটের সবচেয়ে বড় শিকার ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চালকেরা।
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় বারো’ শো গাড়ি পার হতো। এখন ঐ রুটে চলাচলকারী যানবাহনগুলো নদী পারাপারের জন্য দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে। একদিকে তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত প্রতিটি ফেরি ত্রিশ থেকে চল্লিশ মিনিট সময় বেশি লাগছে।  অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দৌলতদিয়া ঘাট অভিমুখে নদী পারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে শত শত পন্যবাহি ট্রাক। এ ছাড়া দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহনের সারি ছোট রাখতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলো আটকে রাখা হচ্ছে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দুরে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায়। সেখানেও অন্তত ৪/৫ কিলোমিটার পন্যবাহি ট্রাকের সারি সৃষ্টি হয়েছে। ২/৩ দিন আগে এসেও অনেক ট্রাককে সিরিয়ালে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
সকাল সারে দশটায় সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারীজ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পণ্যবাহী গাড়ির সারি রয়েছে। ফেরি ঘাটের কাছাকাছি কিছু যাত্রী বাহি বাসও সিরিয়ালে অপেক্ষামান রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা থেকে থেকে ঢাকাগামী   ট্রাক চালাক মো. আকাশ  জানান, তিনি ২দিন গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় সিরিয়ালে আটকে থেকে আজ সকালে দৌলতদিয়ায় এসে সিরিয়ালে আটক পড়েছেন। বলতে পারছেন না কবে কখন ফেরির নাগাল পাবেন। তবে দুইদিন পরে এখান পর্যন্ত আসতেও তার খরচ হয়েছে প্রায় পনেরো শত টাকা।
ভোমরা বর্ডার থেকে আসা ঢাকা গামী কাভার্ড ভ্যান চালক আঃ রাজ্জাক জানান, গত বুধবার  তিনি কাভার্ড ভ্যান নিয়ে গোয়ালন্দ মোড়ে এসে পৌছান। দালালের মাধ্যমে দেড় হাজার টাকা দিয়ে তিনি বৃহস্পতিবার রাতে ঘাটে আসতে পেরেছেন। এখানেও প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে আটকে আছেন। সড়কে আটকে থাকা অবস্থায় থাকা-খাওয়া ও শৌচাগারের ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
এদিকে ঘাটে বিআইডব্লিউটিসির টিকিট কাউন্টারেও পণ্যবাহী গাড়ি থেকে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি পারাপার বন্ধের কারণে দৌলতদিয়ায় গাড়ির চাপ বাড়ার পর অবৈধ এই লেনদেন বেড়ে গেছে। ঘাটে এসে এক-দুই দিন আটকা পড়া এড়িয়ে দ্রুত পারাপারের জন্য টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন পরিবহন চালকেরা।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার হয়ে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ২০০ পণ্যবাহী গাড়ি পার হতো। এসব গাড়ি এখন দৌলতদিয়ায় চলে আসছে। ফলে এই ঘাটে গাড়ির চাপ কমানো যাচ্ছে না। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার চালু না হলে দৌলতদিয়া ঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া কঠিন।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here