রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া লঞ্চ ও এক নং ফেরি ঘাটের মাঝে হঠাৎ করে ১০ মিনিটের মধ্যে ফের ৪ টি বসত বাড়ী নদী গর্ভে চলে যায়। অভিযোগ করে স্থানীয় বাসীন্দারা জানান, নদী শাসনের কাজ শুকনো মৌসুমে না করে প্রতি বছরেই ভরা বর্ষার সময় করে তাতে কোন লাভ হচ্ছে না জনগনের। লাভ হচ্ছে তাদের যারা নদী শাসনের কাজ করাছে। নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে যৌথ ভাবে কিছু দিন আগে লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে জিও ব্যাগ ফেলেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিঊটিএ কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু হঠাৎ করে আজ (১৩ই জুলাই) মঙ্গলবার বেলা ১০টা সময় চোখের সামনে ২০টি বসত বাড়ী নদী গর্ভে চলে যায়।তাহা ছাড়াও নদী ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে লঞ্চও ফেরি ঘাট সহ ৩০ থেকে ৫০ টি বাড়ী। যে কোন সময় এই বাড়ী গুলো নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে।
নদী পাড়ের বাসীন্দা আক্কাছ বেপারী বলেন,আমরা বাড়ীতে ছিলাম না কেউ। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে গোয়ালন্দ হাসপাতালে গিয়ে ছিলাম। তার এক ঘন্টা পরেই আমার পাশের বাড়ীর লোক আমার মুঠোফোনে ফোন দিয়ে বলে তোমার বাড়ী নদীতে চলে যাচ্ছে তুমি তাড়াতাড়ি বাড়ীতে আস । আমি দ্রুত এসে কোন কিছুই বাড়ী থেকে বের করতে পারি নাই। আমার চোখের সামনে বসত বাড়ীসহ সব কিছুইনদীতে চলে গেলে । এখন আমি কোথায় যাব কি করবো জানি না ।
হোটেল ব্যাবসায়ী স্থানীয় বাসিন্দা শাহেদা বেগম বলেন, আমি একটি খাবার হেটেলে কাজ করে খাই।লকডাউনের কারনে খাবার হোটেল বন্ধ থাকায় আমি বাড়ী তে থাকি। আজ আবার একটু বাজারে গিয়েছিলাম কিছু বাজার করা জন্য, এরই মধ্যে আমার মা ফোন দিয়ে বলে সবকিছু নদীতে চলে গেল তুই তাড়াতাড়ি বাড়ীতে আয়। আমি দ্রুত বাড়ীতে এসে ঘরের মধ্যে থাকা একটি টেবিল ও একটি চকি বের করতে না করতে আমার ঘরসহ বসতভিটা নদীতে চলে যায়। এখন সবকিছু হারিয়ে আমি সর্বশান্ত হয়ে গেছি।
দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আ.রহমান মন্ডল বলেন, উপযোগী ভাবে যে ভাবে জিও ব্যাগ গুলো ফেলানোর দরকারা ছিলো সে ভাবে না ফেলে তারা নদীর পাড়ের উপর দিয়ে জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। জিওব্যাগ ফেলানোর দরকার ছিলো নদীর পাড়ের নিচ দিয়ে তাহলে ঘাটটি ভাংতো না আমার কাছে মনে হয়েছে।আর ২০ টি ঘরবাড়ী নদীগর্ভে চলে গেছে এবং ৩০টি ঘরবাড়ী অন্য স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। এমপি মহাদয় ও ডিসি মহাদয় আসছিলো আশ্বাস্ত করে গেছেন আগামী কাল থেকে জিওব্যাগ ফেলে যতটুকু ভাংছে আর যেনো না ভাংগে সে ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন।