মোজাম্মেলহক , গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী):দক্ষিণ বঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়ার পাটুরিয়া নৌরুটে জীবিকার তাগিতে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলা ও কর্মস্থল মুখী মানুষের চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের পৌর জামতলাপর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার জুড়ে গনপরিবহনের দীর্ঘ সারি। ছুটি শেষে কর্মস্থলগামী মানুষকে বয়ে আনা অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দৌলতদিয়া ঘাট অভিমুখে মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ। বিশেষ করে এই গরমে শিশুসহ মহিলাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এদিকে গোয়ালন্দ মাল্লাপট্রি দিয়ে কয়েক হাজার প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস হামিদ মৃধার বাজার হয়ে দৌলতদিয়া হল রোডে এসে টিকিট নিয়ে বাইপাস সড়কে দীর্ঘ সারিতে আটকে আছে। দীর্ঘ যানজটের কারন ফেরি দীর গতি চলাচল করা ও ঘাটে ফেরি কম থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অন্যান্যবারের তুলনায় মোটরসাইকেলের চলাচল উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে।
কাজী তাসনিম পরিবহনের চালক জাহাঙ্গীর বলেন, রাত ১ টা দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে দীর্ঘ সিরিয়ালে আটকে পড়ি আজ বেলা ২ টা বাজে কখন ফেরির দেখা পাবো জানি না। গাড়িতে থাকা যাত্রীদের চরম কষ্ট হচ্ছে তাদের খাওয়া দাওয়া ও গোসল করা কোন টাই হ্চ্ছে না। ঘন্টার পর ঘন্টা গাড়ি বসে থেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে যাত্রীরা।
সোহাগ পরিবহন চালক আনোয়ার বলেন, গত কাল রাত ১ টার দিকে ঘাটে দীর্ঘ যানজটে আটকে পড়ি। এই যানজটের জন্য ঘাটের চরম অব্যবস্থাপনা ও মোটর সাইকেল ও ছোট গাড়ি যাওয়া আসার কে দায়ী করেন এই চালক। তিনি আরো বলেন কখন ফেরির দেখা পাবো বলতে পারছি না।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, এই ঈদে যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্নে করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৯ টি ফেরি চলাচল করছে। তবে নির্বিঘ্নে যাত্রীরা নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারছেন বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।