Thursday, November 14, 2024

নদীতে ডুবে যাওয়ার একদিন পর মিলল শিশুর মরদেহ

রাজবাড়ী জার্নাল ডেস্ক:  রাজবাড়ীর গোদার বাজার পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যাওয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রাফি মিয়া (৯) এর মরদেহ ২২শে আগস্ট ( বৃহস্পতিবার) সকাল সারে ৬টার দিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগেরদিন বুধবার নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায় রাফি ।

নিহত রাফি রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের প্রবাসী রিপন মিয়ার ছেলে। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে নিহত রাফির পিতা প্রবাসী রিপন মিয়া বাড়ীতে আসেন । শোকে কাতর রিপন মিয়া কোন কথা বলতে পারেন নি। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন রাফির মা। শোকে পরিবারের আহাজারিতে আকাশবাতাস ভারী হয়ে যায়। সহপাঠীরাও এদে জড়ো হয় রাফিকে দেখার জন্য। পরে এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয় রাফির মরদেহ ।

পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, রাফি রাজবাড়ীর বিসিক এলাকার দারুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ কওমি মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়ীতে এসে খাবার খেয়ে বন্ধুর সাথে পদ্মা নদীতে গোসলের উদ্দেশ্যে যায়। বেলা ১২টার দিকে গোদার বাজার পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। নদীতে তিন ঘণ্টা উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়েও শিশুটির কোনো খোঁজ পায়নি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

নিহত রাফি’র চাচা আরিফ জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সারে ৬ টার দিকে জেলেরা নৌকায় মাছ ধরার সময় টানা বড়শীতে রাফির মরদেহ আটকে যায় পরে রাফির চাচা ফরিদ সহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাঁসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ,পরে বাড়ীতে নিয়ে তার মরদেহ দাফন করা হয়। তিনি আরোও জানান, রাজবাড়ীতে ডুবুরি টিম নাই, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে উদ্ধার কাজে ব্যার্থ হলে ফরিদপুর থেকে ডুবুরী এনে উদ্ধার কাজ চালায়। নদীতে কেউ পরে গেলে তাকে উদ্ধারের জন্য রাজবাড়ীতে স্থায়ী ডুবুরী নেই। যদি রাজবাড়ীতে স্থায়ী ডুবুরী টিম থাকতো আমার ভাতিজাকে হয়তো জীবিত উদ্ধার করা যেত ।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘শিশুটি সাঁতার জানতো না। ঘটনা দুপুর ১২ টার দিকে ঘটলেও আমরা সংবাদ পাই দুপুর ২ টার দিকে। পরে সংবাদ পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে আমি টিম পাঠাই। রাজবাড়ীতে ডুবুরি দল না থাকায় ফরিদপুরের ডুবুরি দলকে আনতে হয়। বিকেল সোয়া ৩ টার দিকে ডুবুরি দল এসে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। তবে নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় তিন ঘন্টা উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়েও শিশুটির কোন খোঁজ মেলেনি। এরপর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উদ্ধার কার্যক্রম শেষ করা হয়। শুনেছি শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে , আজকে লাশ ভেসে উঠেছিলো। পরে তার পরিবার মরদেহ নিয়ে গেছেন। আমরা খুব চেষ্টা করেছি । ‘

 

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here