Sunday, November 17, 2024

নদী ভাঙন ঠেকাতে এক মাত্র ভরসা জিওব্যাগ

মোজাম্মেলহক লালটু, গোয়ালন্দ :দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে। পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীর্ব স্রোত দেখা দিয়েছে। তীর্ব স্রোতে ৫ নং ফেরি ঘাটে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কারনে আজ তিন দিন যাবৎ ফেরি ঘাট টি বন্ধ রয়েছে। সেখানে নদী ভাঙন রোধ করতে বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে নদী শাসনের এক মাত্র ভরসা জিওব্যাগ।

স্থানীয়রা জানান, দিনে যেখানে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। রাতে সেই জিওব্যাগ স্রোতে চলে যাচ্ছে। তাতে তেমন কোন কাজ হচ্ছে না। দিনে এক গুরুপ যেখানে জিওব্যাগ ফেলবে সেখানে রাতেও একটি গুরুপ দিতে হবে জিওব্যাগ ফেলার জন্য তাহলে যদি নদী ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হয়। একদিকে জিওব্যাগ ফেলছে অন্য দিকে জিওব্যাগ নদীতে চলে যাচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, যে, ৪ নং ফেরি ঘাট হতে ৫ নং ফেরি ঘাট পর্যন্ত ১শত ৫০ কিলোমিটার জুড়ে নদী ভাঙন স্থানে বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ভাঙন স্থানে সাড়ে ৪ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। নদীর গভীরতা অনেক থাকায় সেখানে জিওব্যাগ দিয়ে নদীর পাড় ভরাট করতে অনেকটাই হিমসিম খেতে হচ্ছে।গত কাল লেবারের সংখ্যা কম ছিলো তেমন কাজ করে আগানো যায়নি। আজ সকালে অনেক লেবার নেওয়া হয়েছে তাদের ৪ টি গুরুপ করে দেওয়া হয়েছে তাতে কাজের গতি অনেক বেড়েছে। যত দিন পর্যন্ত নদী ভাঙন রোধ না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত বালু ভর্তি জিওব্যাগ নদীতে ফেলা হবে।
গোয়ালন্দ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে গেজ পাঠক ছালমা খাতুন বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মার পানি ৩ সেন্টিমিটার কমে ৮.২৯ সেন্টিমিটার রয়েছে।

ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী চান্দু বলেন, নদী ভাঙনের কারনে আজ তিন ঘাটটি বন্ধ রয়েছে। নদী দিনের চেয়ে রাতে বেশি ভাঙে। দিনে যে জিওব্যাগ ফেলছে এই ভাবে রাতে যদি ফেলা যায় তাহলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব। তা না হলো ভাঙন ঠেকানো কঠিন হয়ে যাবে। ৪ নং ঘাটের পাশে একজন প্রতিবন্ধী বাড়ী রয়েছে। বাড়ীটি আজ কালের মধ্যে নদীতে চলে যেতে পারে।
পন্টুনের আশ পাশে দোকান ওখাবার হোটেল গুলো ভেঙে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমার দোকানটাও চরম রয়েছে ঝুঁকিতে যে কান সময় চলে যেতে পারে নদীতে।

নুরু কাজী বলেন, এই নদী ভাঙনের কারনে আমি চার বার বাড়ী ভেঙে সরিয়েছি। আজ ৫ নং ফেরি ঘাটটি যে ভাবে ভেঙে দেবে যাচ্ছে তাতে আমাদের বাড়ী ঘর আবারও নদীতে গর্ভে চলে যাবে। চেয়াম্যান ও এমপিরা বলে শুধু নদী শাসন হবে কবে হবে। একথা বলতে বলতে ঘাটটি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। সে সকল জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে তাতে নদী শাসন হবে না। এ বছরেই জিরো পয়েন্টের হাইওয়ে রোডটি নদীতে চলে যাবে। আমরা চাই স্থায়ী ভাবে নদী শাসন।

বিআইডাব্লিউটিএ’ র উপসহকারী পরিচালক মো. মকবুল হোসেন বলেন, ঘাটের নদী ভাঙন রোধো আমরা বিআইডাব্লিউটিএ কাজ করে যাচ্ছি। ৪ নং ফেরি ঘাট হতে ৫ নং ফেরি ঘাট পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার জুড়ে জিওব্যাগ দিয়ে নদীশাসনের কাজ করছি। স্রোতে কিছু বস্তা চলে যাচ্ছে। নদী ভাঙন ঠেকাতে অলরেডি সাড়ে ৪ হাজার বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত নদী ভাঙন ঠেকবে না। ততক্ষণ পর্যন্ত জিওব্যাগ ফেলা হবে।তিন দিন ধরে ৪ও৫ নং ফেরি ঘাট বন্ধ রয়েছে।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here