মোজাম্মেলহক লালটু , গোয়ালন্দ : পদ্মাও যমুনা নদীতে নাব্যতা সস্কটের প্রকট আকার ধারন করেছে। এতে দৌলতদিয়া ৭নং ফেরি ঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে আটকে আছে উত্তর অঞ্চলগামী কয়েকটি জরুরী পণ্য বোঝাই কার্গো জাহাজ।
সরেজমিনে সংশ্লিদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, উত্তর অঞ্চলের পণ্য পরিবহনের গুরুত্ব পূর্ণ নৌপথ দৌলতদিয়া নগরবাড়ী বাঘাবাড়ী এই নৌপথ দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন পণ্যবাহী শতশত কার্গো জাহাজ চলাচল করে থাকে । কিন্তু চলতি শুস্ক মৌসুমে নদীতে পানি অস্বাভাবিক ভাবে পানি কমে গিয়ে নৌপথের বিভিন্ন পয়েন্টে অসংখ্য ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে।পাশাপাশি চ্যানেলের পানি গভীরতা কমে যাওয়ায় পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। এক একটি জাহাজ গন্তবে পৌঁছাতে ৫ থেকে৭ দিন পর্যন্ত সময় লাগছে।এ অবস্থায় চট্রগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে চেড়ে আসা পাবনা নগরবাড়ী ও সিরাজগঞ্জ বাঘাবাড়ী বন্দর গামী বিভিন্ন মালামল ডিএসপি সার ,পিএসপি সার ভ’ট্রা,গম, কয়লা বোঝাই কোষ্টার জাহাজ গুলো গত কয়েক দিন ধরে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ৭নং ফেরি ঘাটের ১ কিলোমিটার ভাটিতে পদ্মা নদীতে আটকে থাকা কার্গো জাহাজ গুলো হতে ট্রলারও বাল্ক হেডের মাধ্যমে পণ্যদ্রব্য নামিয়ে গন্তব্য স্থানে নেয়া হচ্ছে।এভাবে কয়েকদিন পণ্য খালাস করার পর কার্গো জাহাজ গুলো ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে।এই প্রক্রিয়ায় ব্যবসায়ীদের বাড়তি অর্থ ব্যয় হচ্ছে। পন্য সামগ্রী যথা সময়ে গন্তব্যে স্থানে পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে। দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে নোঙর করে আছে ১৫টিরও বেশি কোষ্টার জাহাজ। অনেক শ্রমিক ঐ জাহাজ গুলো থেকে মালামাল নামাতে কাজ করছে। শ্রমিকের মজুরি পার বস্তায় দুই টাকা ৫০ পয়সা করে দেওয়া হচ্ছে। যে যত বস্তা কার্গো থেকে নামাতে পারবে সেই হিসাবে তাদের মজুরি দেওয়া হচ্ছে।
জাহাজ নুররাজ ১০ এর মাষ্টার আ.লতিফ বলেন,চিটাগাং থেকে জাহাজ নিয়ে আসতে নৌপথে নদীর মাঝে বড় বড় ডুবোচর জেগেছে সেসব ডুবোচরে জাহাজ আটকে যায়।ডুবোচরের কারনে নদী পথে ঘুরে আসতে জ্বালানি খরচ ও সময় বেশি লাগছে।তারপর আবার ঘাটে এসে নদীর পারে জাহাজ চাপাতে পারছি না। মাঝ নদীতে জাহাজ আটকে যাওয়ার কারনে সেখানেই রেখেইট্রলার ও বাল্কডে করে মালামাল অনলোড করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন নদীতে নাব্যতা সস্কটের কারনে বেশির ভাগ জাহাজ গুলো দাশকান্দিতে ঘাটে চলে যাচ্ছে।
আরেক জাহাজ মাস্টার আমিন সরদার বলেন,চিটাগাং থেকে জাহাজে করে ভূট্রা নিয়ে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছি। নদীতে পানি থাকলে সময় লাগতো মাত্র দুই থেকে তিন দিন। নদীতে পানি কমে গিয়ে নাব্যতা দেখা দেওয়ায় এখন সময় লাগছে ৬ থেকে ৭ দিন। আবার ঘাটে এসে মালামাল খালাসের জন্য থাকতে হয় দুই থেকে তিন দিন। জাহাজ থেকে মালামাল খালাস করে তার পর চেড়ে যাব বাঘাবাড়ী বন্দরে।
বিআইডাব্লিটিসি দৌলতদিয়ার ঘাট শাখার সহকারি ম্যানেজার খোরশেদ আলম বলেন, নদীতে নাব্যতা সস্কট দেখা দেওয়ার কারনে ফেরি গুলো নদীর ভাটি দিয়ে ঘুরে আসছে ঘাটে তাতে আগের চেয়ে অনেক সময় বেশি লাগছে। নদীর চ্যানেল ঠিক করতে দৌলতদিয়া ও পাটুয়িা ঘাটে ডেজিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। নদীতে এসব পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য ১২ থেকে ১৭ ফিট পানির গভীরতার প্রয়োজন।