রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের পূর্ব বাগদুলী গ্রামের হাবিবুর রহমান খান নামে এক গরু ব্যবসায়ী নিখোঁজের ৩ পর লাশ উদ্ধার করেছে কালুখালী থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, গত ২২/০৭/২০২২ খ্রিঃ ১৮:৪৫ ঘটিকার সময় মোঃ চাঁদ খান(২০), পিতা-হাবিবুর রহমান খান, সাংপূর্ব বাগদুলি, থানা-পাংশা, জেলা-রাজবাড়ী কালুখালী থানায় এসে জানান যে, তার পিতা মোঃ হাবিবুর রহমান খান(৬০) গত ২১/০৭/২০২২ তারিখ সকাল ০৯:০০ ঘটিকার সময় তার পাতানো ধর্ম জামাই মোকছেদ আলী, সাং-বড় পাতুরিয়া, থানা-কালুখালী এর বাড়ী থেকে বের হয়ে আসার পর হতে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বাড়ীর লোকজন যোগাযোগ করতে না পারায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। অবশেষে না পেয়ে থানায় এসে কালুখালী থানার জিডি নং-৮২৮ দাখিল করেন। জিডি দাখিলের সাথে সাথে কালুখালী থানা পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্তশুরু করে। তদন্তকালে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সনাক্তপূর্বক জিজ্ঞাসাবাদে অত্র ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হয়। সন্দেহভাজন সিদ্দিকুর মন্ডল, বাড়ী বড় পাতুরিয়া গ্রামে।
তার মোবাইল ফোন সে এবং তার স্ত্রী নারগীস বেগম ব্যবহার করেন। স্ত্রী নারগীসের সাথে ভিকটিম মোঃ হাবিবুর রহমান এর মোবাইল ফোনে ৩-৪ মাস পূর্বথেকে যোগাযোগ ছিল বলে স্বীকার করে। ভিকটিম বিভিন্ন সময় নারগীস বেগমকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কু-প্রস্তাব দিত কিন্তু নারগীস বেগম তাতে সায় দেয় না। কিন্তু ভিকটিম হাবিবুর রহমান নাছড়বান্দা। নারগীস বেগম এর সাথে সে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে।
সেই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে গত ২১/০৭/২০২২ খ্রিঃ সকাল থেকে কয়েকবার ভিকটিম হাবিবুর রহমান নারগীস বেগম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে। নারগীস বেগম তার স্বামীর সাথে আলোচনা করে উক্ত হাবিবুর রহমানকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসাবে হাবিবুর রহমান নারগীস বেগমদের বাড়ীতে আসার পর ঘরে ঢুকলে পরিকল্পনা অনুযায়ী কুড়াল দিয়ে হাবিবুর রহমান এর মাথায় নারগীস বেগম আঘাত করে। আঘাতের ফলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়।
তারপর নারগীস বেগম এবং তার স্বামী সিদ্দিকুর মন্ডল মিলে দা এবং কুড়ালের অপর পিঠ দিয়ে অসংখ্য
আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। উক্ত মৃতদেহকে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে বাড়ীর ভিতরের আঙ্গিনায়
ছাগলের চালায় দুই ফিট মাটি খুড়ে মাটি চাপা দিয়ে দেয় এবং উপরে পাট কাঠি সহ অন্যান্য জ¦ালানীদ্রব্য
রেখে দেয় যাতে কেউ সন্দেহ করতে না পারে।
ভিকটিমের অর্ধগলিত মৃতদেহ ও ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল আলামত নারগীস বেগম এর বাড়ী থেকে উদ্ধার পূর্বক স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।