Monday, November 18, 2024

নিরাপদ সবজি চাষে সফল হুমায়ুন।

বিশেষ (প্রতিনিধি) গোয়ালন্দ : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি চাষ করে সাড়া জাগিয়েছেন হুমায়ুন আহমেদ (৫০) নামের এক তরুণ উদ্যোক্তা। এছাড়াও তিনি অন্যান্য কৃষি পন্য উৎপাদন করে ও সফল হয়েছেন। কোন প্রকার রাসায়নিক ব্যবহার ছাড়া উৎপাদিত সবজি বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । এবং এলাকায় তাকে দেখে অনেকেই কৃষি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

তার এই কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প শুরু হয় ২০০৪ সালে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে অন্যের কাছ থেকে তিন বিঘা (১বিঘা-৩৩ শতক) জমি লীজ নিয়ে ধান চাষের মাধ্যমে শুরু হয় তার কৃষি কাজ। এরপর ২০০৮ সালে বিটি বেগুন চাষে পান ব্যাপক সাফল্য। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি শুধুই সফলতা পেয়েছেন সবখানে। এর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় শুরু করেন (এসএমই) প্রকল্পের মাধ্যমে বীজ উৎপাদন। বীজ উৎপাদনেও তিনি সফলতা পান। বর্তমানে তিনি সবজি উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। চাষ করছেন রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যাবহার ছাড়া। স্থানীয়দের অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষকৃত সবজি দিতে পেরে খুশি তিনি।

সরেজমিনে উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের তোরাপ শেখের পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজ চাষে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইন্ডিয়ান সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ চাষ করা হচ্ছে। এ জাতের পেঁয়াজ দেশী জাতের তুলনায় চারগুন বেশী ফলন হয় যা ৩৩ শতকের বিঘাতে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ মন। আলাপকালে তিনি জানান ১৫ বিঘা জমিতে তিনি পেয়াজ রোপণ করেছেন। দাম বর্তমান অবস্থায় থাকলে বিঘা প্রতি জমিতে প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা লাভের আশা করেন তিনি। তবে তিনি মনে করেন এই মৌসুমে পেয়াজর এলসি বন্ধ থাকলে কৃষকরা লাভবান হবেন এবং পেয়াজ চাষে এগিয়ে আসবেন। এছাড়া এবছর তিনি ত্রিশ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেও ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। তার খেতের বিষমুক্ত কপি, টমেটো ও শিমে রয়েছে বাজেটে ব্যাপক চাহিদা। তিনি বলেন সারাদেশে বিষ মুক্ত সবজি চাষ হলে দেশের উন্নয়ন হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার স্বপ্ন রয়েছে— রাজবাড়ী জেলায় কৃষিতে বিপ্লব ঘটানো। আমি বিশ্বাস করি, পদ্মা নদীর পাড়ের রাজবাড়ী জেলায় কৃষিতে বিপ্লব ঘটানো যাবে। বর্তমানে মাসিক বেতনভুক্ত ১৪ জন কর্মচারী রয়েছে আমার। তাছাড়া ক্ষেতে দিনমজুর হিসেবে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ জন কাজ করেন।

গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, হুমায়ন আহমেদ অন্যদের আইডল। তার সফলতার পিছনে রয়েছে সততা এবং সঠিক লক্ষ্য। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে তিনি কৃষি চাষ করেন। যে কারণে তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা পেয়েছেন। অন্য কৃষকদের অনুরোধ তাকে অনুসরণ করতে।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here