রাজবাড়ী জার্নাল:
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং অফিসার , সহকারি রিটার্নিং অফিসার ,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিগনের সাথে মতবিনিময় সভা করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর ।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার জি.এম. আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক আসাদুজ্জামান রিপন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদা খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জয়ন্তী রূপা রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সূবর্ণা রানী সাহা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সোহাগ হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং রাজবাড়ীর ৫ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগন ।
মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন- বিএনপি নির্বাচনে এলে তারিখ পুনর্নির্ধারণ করা হবে, আমাদের আহ্বান সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তবে বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে আমরা যে শিডিউল ঘোষণা করেছি তাদের সুবিধার্থে নির্বাচনের তারিখ পুনর্র্নিধারণ করব।
ইসি আলমগীর বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না আসবে, এটা তাদের বিষয়। আমাদের আহ্বান সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। তবে বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে আমরা যে শিডিউল ঘোষণা করেছি তাদের সুবিধার্থে নির্বাচনের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করবো। তবে খেয়াল রাখতে হবে সংবিধান অনুযায়ী যে কাট অব ডেট রয়েছে সেটার বাইরে যেতে পারব না। এই ডেটের মধ্যে নতুন তারিখ ঘোষণা করতে হবে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচনে সাংবাদিকদের জন্য নতুন নীতিমালা বানানো হয়েছে, আগে সাংবাদিকদেরকে প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতি নিয়ে ভোট কক্ষে প্রবেশ করতে হতো , এবার অনুমতি নিতে হবে না , তবে অবগত করতে হবে যেন , অন্য কেউ ঢুকতে না পারে। আপনাদের অনেক সুবিধা দেওয়া হয়েছে, রেকর্ড করতে পারবেন, ছবি তুলতে পারবেন, ভোট গণনার সময় ভোট কক্ষেও থাকতে পারবেন কিন্তু ভোট কক্ষে সরাসরি লাইভ দেওয়া যাবেনা।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন সবসময় তাদেরকে (বিএনপি) ওয়েলকাম করি। তারা যখনই নির্বাচনে আসার সম্মতি প্রকাশ করবে তখনই আমরা সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে আমরা চাই সব রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সরকার গঠন হোক।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরে সেটা সংখ্যালঘু হোক, প্রার্থী হোক, সাধারণ ভোটার হোক বা যেই হোক না কেন সবাই যেন শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে পারে। কোনো রকম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নির্বাচনের আগে ও পরে সজাগ থাকবে। আগের নির্বাচনগুলোতে নির্বাচনের পরের দুদিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে ছিল, আমরা এবার নির্বাচনের পরে ১৫ দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মাঠে থাকতে বলেছি।’