নৈসর্গিক প্রেম
তাহমিনা মুন্নী-
জীবনের পরোতে পরোতে ফোটা
অরবিন্দ শিশিরের নিঃশব্দ মৌনতা
হৃদয়ের গীতাঞ্জলিতে বেজে ওঠা কল্লোল
অনাবিল ভাবনার করিডরে
তোমার বিশ্বস্ত হৃদয়ে আমার অনন্ত আশ্রয়।
তোমাতেই ভ্রমণ করি অনাদিকাল!!
শরতের কাশফুল, প্রজাপতি মন
গল্পের আসরে, ধোঁয়া ওঠা চায়ের চুমুকে
তুমি আমি আর আমাদের হিম শীতল মন।
রংধনু রং স্পর্শ করে আমার সমস্ত সত্ত্বা জুড়ে।
আমি সেই রঙে তোমার হৃদয়ে সাজাই আমার বসন্তের মৌন প্রহর।
ভালবেসে বার বার খুন হই অনায়াসে!!
শীত কুয়াশা ভেদ করে নৈসর্গিক প্রেমের মৃদু উষ্ণতা নিয়ে যেদিন প্রথম এলে আমার বেলকুনিতে
আমি নীলকন্ঠ রাতের বাতাসে মহুয়ার মাতাল গন্ধে
নিদারুণ ভালবাসার আস্বাদনে
তোমার মুখোমুখি বসেছিলাম।
অবশেষে চোখে চোখ,
আমার অনামিকায় তোমার নিবিষ্ট হাতের স্পর্শ !!
মুহূর্তেই হৃদয়ের বাসন্তীকায় বেজে ওঠে
ভালবাসার অনন্ত গল্প,
সেই থেকে আজও আমার স্বপ্ন স্বর্গীয় দৃষ্টি তোমার বুকের নিভৃতে আজীবন নিবন্ধিত।
আমি পথ চলি নির্ভয়ে, যেখানে তোমার ভালবাসার নীলাচল প্রতি মুহূর্তে আমাকে আগলে রাখে সমস্ত অশুভ ছায়া থেকে।
নীল বেদনার আভা মুছে, যে আমাকে চির সবুজ এক পৃথিবীতে বেঁচে থাকার বিশ্বস্ত আশ্রয়———-
তারই স্নিগ্ধতায় বারবার প্রস্ফুটিত পুস্পরাজির ন্যায় আমিও নৈসর্গিক প্রেমের শরাবে নিমগ্ন, কবিতার শব্দ ভান্ডার অথবা যুদ্ধের ময়দানে তোমাতেই খুঁজে পাই আমার বর্ণমালার ঘর।