মোজাম্মেলহক, গোয়ালন্দঃ দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে তীর্ব স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সরে জমিনে দেখা যায়, নদীতে তীর্ব স্রোত থাকায় আগের চেয়ের দ্বিগুন সময় লাগছে এবং বেশি পাওয়ার দিয়ে ফেরি চালাতে গিয়ে ঘন ঘন ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ছে।
দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফেরি ছেড়ে গিয়ে উজানের দিকে যাবার পর পাটুরিয়া দিকে পারি জমাতে গেলে স্রোতে ফেরি ঘাটের নিচে চলে যাচ্ছে আবার সেথান থেকে উজিয়ে ঘাটে আসতে হচ্ছে তাতে ১ ঘন্টার ও বেশি সময় লাগছে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাটুরিয়া ঘাটে যেতে। এদিকে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট হতে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে ডাইবেশন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে পন্যবাহী ট্রাক ও গনপরিবহনের দীর্ঘ সিরিয়ালে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থেকে ভৌগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চালক ওসহকারিদের।
বিশেষ করে বেশি ভৌগান্তিতে পড়ছে শিশুসহ মহিলারা। ট্রাক চালক রবিউল বলেন, কাল বিকালে ভোমরা থেকে গাড়ি লোড করে রাত ১০ টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে দীর্ঘ সিরিয়ালে আটকে থেকে প্যাকেট খাবার কিনে খাচ্ছি গোসল করতে পারছি না এখন বেলা ১ টা বাজে কখন ফেরির দেখা পাবো বলতে পারছি না। আরেক চালক মোসারফ হোসেন বলেন, কাল রাতে মাগুরা থেকে গাড়িতে পাইপ লোড করে গোয়ালন্দ মোড়ে এসে দীর্ঘ সিরিয়ালে আটকে থাকার পর আজ সকালে ঘাটে এসে আবারও দীর্ঘ লাইনে আটকে আছি কখন ফেরি পাবো বলতে পারছি না।
দৌলতদিয়া ঘাট বিআইডাব্লিউটিসির সহকারি ম্যানেজার মো. খোরশেদ বলেন, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে প্রচুর পরিমান কারেন্ট থাকার ফেরি চলাচলা দ্বিগুন সময় লাগছে। সে কারনে মহসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা দিয়েছে।এই নৌরুটে ছোট বড় ২০ টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।তবে পচন শীল পন্যবাহী ট্রাক গুলো অগ্রধিকারের ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।