রাজবাড়ী গোদার বাজার পদ্মা নদীতে ফের ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। দুপুর ১টা ২০ মিনিটের সময় দেখা দেয় এ ভাঙ্গন। আর ভাঙ্গনের খবর জানেন না রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আঃ আহাদ । তিনি জানান, আগের জিও ব্যাগ ফেলানো ছিলো সেগুলো সরে গেছে মাত্র, আর সবাই বলছে নদী ভাংছে ।
গত ২৪শে সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার মিজানপুর ইউপি’র চর সিলিম পুর সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয় বিলীন হয়ে যায় নদীতে। আর গত এক সপ্তাহের ব্যাবধানে গোদার বাজার এলাকায় ৪ টি স্থানে ভাঙ্গন দেখা গেছে। আজও প্রায় ৫০ মিটারের বেশী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী গত দুই মাসে নদীতে ২০ টি পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দেয় । ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যায়ে নদী শাসনের জন্য রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ-ফেজ-২ এর অধীনে দুই মাস আগে কাজ শেষ করে খুলনা শিপ ইয়ার্ড। ’
কিন্ত কাজ শেষ হবার দুই মাসের মাথায় নদীর ২০ টি স্থানে ভাঙ্গন দেখা। দফায় দফায় ভাঙ্গনের ফলে দুর্বল হয়ে পরেছে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ ।
১লা নভেম্বর (সোমবার) দুপুরে সরেজমিনে গোদার বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায় প্রায় ৫০ মিটারের বেশী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। আর ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসীন্দারা ঘর বাড়ী ভেঙ্গে অন্যত্র চলে যাচ্ছে । বসত বাড়ী ,স্থাপনা , গরু ছাগল নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে নদী পাড়ের লোকজন। ১২-১৫ গজ দূরে রয়েছে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাধ। এভাবে ভাংতে থাকলে রাজবাড়ী শহর নদীতে চলে যেতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে নদী পাড়ের বাসিন্দা আজিজুল ব্যাপারী জানান, আমার বাড়ী এখন হুমকীর মুখে । আমার ছেলে মেয়ে সহ ১৪-১৫ জন নিয়ে আমি এখন কোথায় যাবো ।আ আমর আর যাওয়ার যায়গা নাই। নদীতে যেভাবে ভাংছে সবাই আমরা এখন খুব ভয়ে আছি যে কখন শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে যায়। আমার অনেক জমি ইত মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
আবু বকর সিদ্দিক জানান, নদীতে আমার প্রায় ৪শপ বিঘা জমি বিলীন হয়ে গেছে । আমার বাড়ী সহ চলে গেছে নদীতে , এখন আমি অন্য যায়গায় থাকি । আজকে দুপুরে এখানে ভেঙ্গেছে এসে দেখছি প্রায় ২০ টি পরিবার অন্য যায়গায় চলে যাচ্ছে।’
সরেজমিনে ভাঙ্গন পরিদর্শনে দেখা যায় নি কোন কর্মকর্তা কে । পরে বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে গিয়ে নদী ভাঙ্গনের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ বলেন, আজকে নদীতে কোথাও ভাঙ্গন হয় নি। আগের জিও টিউব নদীতে ফেলানো ছিলো সেটি নদীতে চলে গেছে। নতুন করে ভাঙ্গনের কোন ঘটনা ঘটেনি।
আপনি কি সেখানে গিয়েছিলেন এ প্রশ্নে তিনি আরো জানান, যেখানে নদী ভাঙ্গন হয়-ই-নি সেখানে যাওয়ার কোন দরকার পরে না ,আমাদের অফিসে অনেক কাজ থাকে। আগে যে যায়গায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছিলো সে সকল যায়গায় জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলানো হচ্ছে।