উজ্জল হোসেন, পাংশা : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার ( ৮ই মে) উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ জাফর সাদিক চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য গোবিন্দ কুন্ডু, পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. রোকেয়া খাতুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলাম (বুড়ো), পাংশা প্রেসক্লাব সভাপতি এসএম রাসেল কবীর, সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ রেজা শিশির, সাংবাদিক শামিম হোসেনসহ অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পাংশা উপজেলার বিভিন্ন অফিসের সরকারি কর্মকর্তাগণ, উপজেলার ১০টি ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানগণ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, আমি অবশ্যই পাংশার কলিমহর এর সন্ত্রাসীদের কে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য পাংশা থানাকে ধন্যবাদ জানাই। এই সমস্ত হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। এবং যারা এই সন্ত্রাসীদের মদতদাতা তাদের কে খুজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাংশায় কিছু এলাকায় কিছু লোক কিশোর গ্যাংগ সৃষ্টি করাচ্ছে, আমাদের কিছু নেতাদের মধ্যে কয়েকটা লোক এই কাজের সাথে জড়িত আছে। এই কিশোর গ্যাং যারা তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া আমাদের সমাজে দিনদিন মাদকের ব্যবসা বেড়েই চলেছে এটাও দ্রুত বন্ধ করতে হবে। বালু ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য বলেন- হোটেলের ডাল যেমন শেষ হয়না তেমনি বালুর চাতালও শেষ হয় না। সুদের বিষয়ে তিনি বলে সুদের টাকার জন্য কাউকে কোন মারধর করলে এটা কখনো মেনে নেওয়া হবেনা না। এবং তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। পাংশায় আইনের সহায়তা বাড়ানোর জন্য পুলিশকে সিসি ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে দরকার হলে তাদের কে আরো সহায়তা দেওয়া হবে।