রাজবাড়ী পাংশা উপজেলার কসবামাঝাইল ইউনিয়নে আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে উত্তপ্ত দুই পক্ষ। হামলায় বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও আওয়ামীলীগের অফিস ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ১১ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতরা সবাই পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন এবং মদিনা ক্লিনিকে ৪ ভর্তি আছে। ও বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে যায়।
আহত আশরাফ মন্ডল বলেন কসবামাঝাইল বাজারে অবস্থিত আওয়ামীলীগের অফিসে আমরা রানিং চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল খানের সমর্থিত কিছু লোকজন বসে ছিলাম। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পরে ইউনিয়নের আরেকজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাই ও তার দলবল এসে আমাদের উপরে অতর্কিতভাবে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে।
এবিষয়ে কসবামাঝাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল খান বলেন। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাকিবুল বিশ্বাসের ভাই ও তার সমর্থিত কিছু লোকজন আওয়ামী লীগের অফিসে ঢুকে আওয়ামী লীগের কর্মীদের মারধর ও অফিস ভাঙচুর করেছে। উক্ত ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কসবামাঝাইল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাকিবুল বিশ্বাস বলেন আমি বা আমার সমর্থিত কোন লোক এঘটনার সাথে জড়িত না। তারা নিজেরাই ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। এই মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিব।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান ঘটনার পরপরই কসবামাঝাইল পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।