উজ্জল হোসেন, পাংশা : রাজবাড়ীর পাংশার সরিষা ইউনিয়নের প্রেমটিয়ায় মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) খুন হওয়া আশালতা দাসের খুনী বিশ্বজিতকে গ্রেফতার, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাতুরী ও লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যা কারন উদঘাটন, হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম সহ হত্যাকারী বিশ্বজিত কুমারকে গ্রেফতার এবং লুন্ঠিত হওয়া সরঞ্জাম উদ্ধার করেন ওসি স্বপন কুমারের নেতৃত্তে পাংশা মডেল থানা পুলিশ।
এ হত্যাকান্ডর ঘটনায় নিহতের জামাতা স্বপন কুমার বিশ্বাস বাদি হয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারী পাংশা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১৪।
গ্রেফতারকৃত আসামী বিশ্বজিতকে বুধবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পাংশা মডেল থানা’র ওসি ওসি স্বপন কুমার জানান, আসামী বিশ্বজিত বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, হাতুড়ী দিয়ে আঘাত করে হত্যা করার পর লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার নিয়ে স্বর্ণকার অরুপ কর্মকার @ কানু (৩৫), পিতা- মৃত অরুন কর্মকার, এ/পি সাং- বিনোদপুর, স্থায়ী সাং- লক্ষীকোল রাজধরবাড়ী, থানা ও জেলা- রাজবাড়ী এর দোকানে যায়। সেখানে লুন্ঠিত হাতের বালার স্বর্ণ থেকে চাচ আলাদা করে স্বর্ণের বালা দুইটি খন্ড খন্ড করতঃ বিক্রির চেষ্টা করে। বিক্রির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে সে প্রথমে সরিষা বাজারস্থ তার বিশ্বাস ইলেকট্রনিক্স নামক দোকানে গিয়ে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার গুলো কাগজে পেচিয়ে একটি এলইডি টিভির খালি বাক্সে লুকিয়ে রাখে। আসামী আরও জানায় হত্যা করার পর তার পরিধেয় কাপড় চোপড়ও তার দোকানে লুকিয়ে রেখেছে এবং হাতুড়ীটি তাদের ঘরের পশ্চিম পাশের পুকুরে ফেলে দিয়েছে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক সরিষা বাজারস্থ তার বিশ্বাস ইলেকট্রনিক্স নামক দোকান থেকে তার বের করে দেওয়া মতে স্বর্নের টানা চেইনসহ একজোড়া কানের দুল, একটি স্বর্নের আংটি, স্বর্ণের বালার ৯ টি খন্ডিত অংশ, ঘটনার সময় পরিহিত কাপড় চোপড়(রক্তের দাগ যুক্ত) এবং আসামীর বসত বাড়ীর পশ্চিম পাশের তার পিতার মালিকানাধীন পুকুরের মধ্যে হইতে তার দেখানো মতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি হাতুড়ী উদ্ধারপূর্বক জব্দ করি। আসামী বিশ্বজিত কুমার বিশ্বাস আশালতা দাসকে হাতুড়ী দিয়ে আঘাত করতঃ হত্যা করে তার স্বর্ণালংকার লুন্ঠন করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে এবং সেই মোতাবেক জব্দ করা হয়। আসামী সেচ্ছায় ঘটনার সংঘটনের সত্যতা স্বীকার করে এবং তার দেখানো ও বের করে দেওয়া মতে লুন্ঠিত মালামাল ও সংশ্লিষ্ট আলামত জব্দ করা হয়।’