উজ্জল হোসেন, পাংশা : রাজবাড়ীর পাংশা থানার অন্তর্ভুক্ত পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় আরও ৩জন আসামীদের গ্রেফতার করেছে পাংশা মডেল থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য গত ৩০ এপ্রিল উপজেলার হোসেনডাঙ্গা বাজারে তার সারের দোকানের হালখাতা শেষে রাত ৯ টার দিকে ব্যাক্তিগত মোটর সাইকেলে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। ইতি মধ্যে বলাই বিশ্বাসের বাড়ির সামনে রাস্তা ভাঙ্গা থাকায় মোটরসাইকেল এর গতি কমালে সেই খানে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা আনুমানিক ৮-১০ জন ছিনতাইকারী টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তার গাড়ির গতিরোধ করে। তার নিকট টাকা না পেয়ে ছিনতাইকারীরা মিজানুরের সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কাছ থেকে তার মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। সাথে সাথে মিজানুর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মিজানুরকে মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। সংবাদ প্রাপ্তিতে পাংশা থানার রাত্রিকালিন টহল পুলিশ দল ঘটনাস্থলে যায় এবং অনুসন্ধান শুরু করে। এসংক্রান্তে নিহত মিজানুরের স্ত্রী শাহানারা বেগম পাংশা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকালে রাজবাড়ী জেলার পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় পাংশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহার তত্ত্বাবধানে অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ও অন্যান্য অফিসারবৃন্দ গতকাল (৬ মে) শনিবার রাত ১১:৩০ মিনিটের সময় পাংশা থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০৩ (তিন) জন আসামীসহ ০২ (দুই) টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ০২ (দুই) টি ককটেল বোমা উদ্ধার করেন।
গ্রেপ্তার আসামীরা হলোঃ সরিষা ইউনিয়নের মনটু শিকদার এর ছেলে সজীব শিকদার(২০), ইউপির নূর আলী মন্ডল এর ছেলে রাসেল মন্ডল (২০) এবং একই ইউপির সোহরাব শেখ এর ছেলে মো. রমজান শেখ(৪০)।
এ বিষয়ে ৭ই মে সকালে পাংশা মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাংশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহা । এ সময়ে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, পাংশা সার্কেল কার্যালয়ে প্রশিক্ষণরত এএসপি আসলাম সাগর।