উজ্জল হোসেন, পাংশা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের পুষ্টি সমৃদ্ধ ধান মেধাবী প্রজন্ম গড়বে। এমন প্রত্যাশা করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট।
আগাম জাতের এই ধানে জিংক, প্রটিনসহ পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা অন্য ধানের তুলনায় অনেক বেশি। এ চালের ভাত খেলে শিশুর গড় উচ্চতা, বুদ্ধিমাত্রা ও স্টেমিনা বৃদ্ধি পাবে। গর্ভবতী মায়েদের দেহের জিংকের চাহিদা পুরণ করবে। এ ধানের ভাত গ্রহণের মাধ্যমে মেধাবী প্রজন্ম গড়ে উঠবে।
রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, পুষ্টি সমৃদ্ধ এই ধান হেক্টরে ৬.৬৬ টন ফলন হয়েছে। তবে এর চেয়ে আরো বেশি হয়। কিন্তুু এ বছর আমাদের এখানে পানির সমস্যা থাকায় ফলন কম হয়েছে। উপজেলায় নতুন জাতের বঙ্গবন্ধু ধানের বাম্পর ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
উপজেলার বাবুপাড়া গ্রামের কৃষক মো: ইসলাম শেখ বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়া সহিষ্ণু এই ধানের আবাদে আমাদের সার, সেচ ও কীটনাশক খরচ হয়েছে অনেক কম। ধানটি সরু। খেতে সুস্বাদু। সেই সাথে প্রচুর পুষ্টিগুন রয়েছে। এই ধানের চালের চাহিদা এবং বাজার দর প্রচলিত ধানের তুলনায় বেশি পাওয়া যাবে। আগাম জাতের এই ধানের বাম্পার ফলন আমাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার ঘোষ বলেন, প্রচলিত ধানে সাধারণত কার্যকরী কুঁশি ১৮টি থাকে। কিন্তুু বঙ্গবন্ধু ধানে কার্যকরী কুঁশির সংখ্যা ৩০টি। এ কারণে এ ধানের ফলন বেশি। এ ধানের আবাদ করে কৃষক পরের বছরে চাষাবাদের জন্য বীজ সংরক্ষণ করতে পারেন। পাংশায় এ বছর ১৮৬৫ হেক্টর জমিতে এই ধান চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে অন্য ধানের তুলনায় বেশি তাই কৃষক আগামীতে লাভজনক এ ধানের আবাদে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন।