উজ্জল হোসেন, পাংশা: রাজবাড়ীর পাংশায় মসজিদ ও মাদ্রাসার অযুহাত দিয়ে রাতের অন্ধকারে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের সলুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ঐ ব্যাক্তির নাম শহিদুল আলম বিশ্বাস। জানা যায় তিনি কসবামাজাইল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। তবে এ বিষয়ে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস উপজেলা প্রশাসনের।
জানা যায়, কসবামাজাইল ইউনিয়নের সলুয়া বাজার এলাকায় গড়াই নদী থেকে কয়েকদিন ধরে অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন মহোৎসব। ভেকু মেশিন দিয়ে সন্ধ্যা রাত থেকে শুরু করে ভোর রাত পর্যন্ত চলে এই বালু উত্তোলন। এসব বালু বিক্রি হয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারী) সকালে সরেজমিনে গিয়ে বালু উত্তোলন করা বন্ধ রয়েছে। বালু উত্তোলন করা ভেকু মেশিন সলুয়া বাজারের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী হাবিব মোল্লার বাড়িতে রাখা হয়েছে।
এ সময় ব্যবসায়ী হাবিব মোল্লার স্ত্রী জানান, এই মেশিন দিয়ে রাতে বালুকাটা হয়। মেশিনটি এখানে কে রেখেছে আমার জানা নেই।
এ সময় এলাকাবাসী জানান, সারা রাত ধরে নদী থেকে বালু কাটা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনে বিলিণ হয়ে যেতে পারে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। এতে হুমকির মুখে নদী পাড়ের মানুষ। এই বালু কাটার মুল হোতা কসবাজাইল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল আলম বিশ্বাস। অমরা তাকে বালু কাটা বন্ধ করতে বলেছি। তিনি সলুয়া বাজার সংলগ্ন সলুয়া স্বতন্ত্র মাদ্রাসা ও সলুয়া জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজের কথা বলে এখনো বালু কাটাচ্ছেন। বালু উত্তোলনের সাথে এলাকার নুরুল ইসলাম, হিরন, রাজু ও জাফর মোল্লাসহ কয়েকজন জড়িত রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কসবাজাইল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল আলম বিশ্বাস বলেন, এক জায়গা থেকে প্রতিমাসে মসজিদের জন্য দুই হাজার ও মাদ্রাসার জন্য দুই হাজার টাকা করে নেওয়ার চুক্তি হয়েছে। এক মাস টাকা নেওয়া হয়েছে। সলুয়া বাজার থেকে এখনো কোন টাকা নেওয়া হয়নি। তারাও দিতে চেয়েছে।
আপনি বালু উত্তোলনের অনুমত দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোন বালি কাটার অনুমতি দেইনি। হিরনরা কাটছে। আমি শুধু মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে এই চুক্তি করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস.এম আবু দারদা বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। ইতিপূর্বেও দুইবার পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা পালিয়ে গেছে। অতিদ্রুত আমি নিজেই একটি অভিযান পরিচালনা করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’