উজ্জ্বল হোসেন,পাংশাঃ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের তেলিগাতি গ্রামে বাবার হাতে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী পাখি আক্তার খুন হয়েছে। নিহত পাখি পাংশার মৌরাট ইউনিয়নের বাগদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীতে পড়াশোনা করতেন। পাখি মৌরাট ইউনিয়নের তেলিগাতি গ্রামের কালাম মিয়ার মেয়ে । এ ঘটনায় বাবা কালাম মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
জানাগেছে, মেয়ের বাবা বাজারে গিয়ে অন্যের কাছে নিজের মেয়ের নামে কটু কথা শুনে বাড়িতে এসে মেয়েকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। গতকাল বুধবার রাত ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কাঠের চলা দিয়ে মেয়েকে ঘারের নিচে আঘাত করলে তাৎক্ষনিক প্রাণ হারান পাখি। এরপর স্থানীয়রা সেখান থেকে উদ্ধার করে পাংশা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুজাউদ্দিন তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তখন পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাখি আক্তার পাখির মরদেহ রেখে পালিয়েছেন স্বজনেরা।
পাখির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক বাবা কালাম মিয়াকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাংশা থানার এস আই তারিকুল ইসলাম।
জানা যায়, নিহত পাখি মৌরাট ইউনিয়নের বাগদুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীতে পড়াশোনা করতেন। স্থানীয় এক যুবকের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল এমন বিষয়টি নিয়ে তার বাবাকে জানানো হয়। এসময় মেয়ের চরিত্র নিয়েও আজেবাজে কথা বলা হয়। মেয়ের সম্পর্কে কটু কথা শুনে বাড়িতে ফিরে প্রথমে মেয়ের মাকে মারধর করেন কালাম মিয়া।
এরপর মেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকেও পেছন থেকে ঘাড়ে কাঠের চলা দিয়ে আঘাত করেন বাবা। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান পাখি। বাবার আঘাতে মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।’
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন মজুমদার বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাবাকে আটক করা হয়েছে।’