উজ্জল হোসেন, পাংশা: রাজবাড়ীর পাংশায় আওয়ামীলীগ নেতা মো. নাসির উদ্দিন অরুফে গাজীর মেম্বার নামের এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে যখম করেছে সন্ত্রাসীরা।
গত সোমবার (১৫ আগস্ট) মৌরাট ইউনিয়নের খান্দুয়া (দরিপাট্টা) গ্রামে গাজীর মেম্বারের নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। গাজীর মেম্বার মৌরাট ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ৩ নং ইউপি’র নির্বাচিত ইউপি সদস্য। সে বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
চিকিৎসাধীন আহত ইউপি সদস্য রাজবাড়ী জার্নাল কে মুঠোফোনে জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার উপর এ হামলা হয়েছে। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আনসার নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় আমার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। গতকাল রাতে আমার বাড়ির পাশে জহিরের দোকানে বসে ছিলাম এমন সময় আনসারের ছেলে ও আনসার বাহিনীর সদস্য উজ্জ্বল, এছাড়াও আনসার বাহিনীর সদস্য রিদয়, আলামিন, শরিফ, নয়ন, নান্নু, কামাল, ও হামিদুল সহ ১০-১২ জন আমার উপর হামলা চালায়। আমাকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপায় এবং লাঠি-সোটা দিয়ে মারপিট করে। আমার চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে তারা সবাই পালিয়ে যায়। মো. আনসার পাংশার সন্ত্রাসী আনসার বাহিনীর প্রধান বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরোও জানান, এ ঘটনায় পাংশা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
আহত ইউপি সদস্যের ছেলে আদনান বলেন, আমার বাবাকে আহত অবস্থায় প্রথমে পাংশা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে আমার বাবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেপার্ট করে। আমার বাবার অবস্থা খুবই আশঙ্কা জনক। অভিযুক্ত আনসার মন্ডলের ছেলে উজ্জ্বলের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
মো. আনসার বলেন, আমি কোন বাহিনীই করিনা, বাহিনীর প্রধান হওয়া দূরের কথা। গত নির্বাচনে আমি তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করায় সে আমার নামে এ সকল মিথ্যা কথা বলেছে।
পাংশা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে আনসার আলী মন্ডলকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরই মধ্যে এজাহারভুক্ত তিনজন আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।