উজ্জ্বল হোসেন,পাংশা : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সরদার রেজাকে প্রধান আসামী করে মামলা করা হয়েছে। একই সাথে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর বহিস্কারের আবেদন ও করা হয়েছে।
গত ১৭ আগষ্ট বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর আলোকে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট বিএনপি-জামাতের যোগসাজশে জঙ্গি সন্ত্রাসী গোষ্টি জে এমবি কর্তৃক দেশের ৬৩টি জেলায় ৫ শতাধীক স্থানে ঘৃণ্য ও নারকীয় সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করা হয়।
এ কর্মসূচীতে পূর্ব পরিকল্পিক ভাবে ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল আল মামুনের সাথে সংগঠন বহির্ভূত আচরন করেন রেজা। সেই সাথে কয়েকজন নেতা কর্মীর উপর হামলা চালানোয় উপজেলা আওয়ামীলীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগ।
এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে জানা যায়।
এর আগে ৬ মে ২০২২ ইং তারিখে বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কর্মসূচী, ৫ আগষ্ট ’২২ ইং শেখ কামালের জন্মদিন ও ৮ আগষ্ট ’২২ বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’র জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচীতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা সরদার ও তার অনুসারীরা অংশ না নিয়ে কর্মসূচী বানচালের অপচেষ্টা চালান।
এ সকল অপরাধের কারনে তাকে স্থায়ীভাবে ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিস্কার করার সুপাশি করা হয়েছে। পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ কামাল আল-মামুনের স্বাক্ষরিত ২০ আগষ্ট ২০২২’ একটি চিঠিতে এ তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।
১৭ আগষ্টে হামলার ঘটনায় হাবাসপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা সবুজ শেখ বাদী হয়ে পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম রেজা সরদার, কাউন্সিলর তাজুল ইসলামকে আসামী করে ৫ জনের নাম উল্লেখ্যসহ ১৫/২০ জনের নামে পাংশা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সুত্রে জানাযায়-ওই দিন দুপর ১২ টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা রেজাউল করিম রেজার নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে কর্মসূচী বানচাল করার নিমিত্বে নেতা কর্মীদের উপর হামলা করা হয়। হামলায় সবুজ শেখ, নাজমুল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। সবুজ ও নাজমুল পাংশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল।
এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ কামাল আল মামুন বলেন- রেজাউল করিম রেজা সরদার ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র মানে না সে বিভিন্ন সময় নারী ঘটিত বিষয়ে জড়িয়ে সংগঠনের সুনাম নষ্ট করেছে। সে ছাত্রলীগ করে ছাত্রলীগের কর্মীদের উপর হামলা করেছে, আমরা মিটিং করে রেজুলেশনের মাধ্যমে তাকে স্থানীয় ভাবে বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নিকট সুপারিশ করেছি।
এ ব্যাপারে রেজাউল করিম রেজার সাথে কথা হলে তিনি বলেন- আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র।