উজ্জল হোসেন, পাংশা (রাজবাড়ী) : রাজবাড়ীর পাংশায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে একাধীকবার অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করে এবং নগত দুই লাখ টাকা আত্বসাত করে এখন বিয়ে করতে না চাওয়ায় ভন্ড প্রেমিক সম্রাট (২৬) এর বাড়ীতে অনশনের বসেছেন অসহায় যুবতী সম্পা (২২) (ছদ্দ নাম)।
ভন্ড প্রতারক প্রেমিক সম্রাট উপজেলার যশাই ইউপির পারভেল্লাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ বিশ্বাস এর ছেলে। সে পেশায় রেন্ট-এ কার চালক। সম্পা মাগুড়া জেলার শ্রীপুর উপজেলার আম্বলস্বার এলাকার মেয়ে। সে ঢাকায় একটি পোশাক তৈরির কারখানায় চাকরি করে।
সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সম্পা বলেন, গত প্রায় দের বছর পূর্বে আমার গ্রামের বাড়ীর একটা দুঃসংবাদ শুনে রাতেই আমি বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হই। পথে বাস না পেয়ে পাংশার দিকে আসা সম্রাটের গাড়ীতে উঠি। পাংশাতে নেমেও কোন গাড়ী না পাওয়ায় সম্রাটের ডাকে শুধু রাত টুকু থাকার জন্য ওর বাড়ীতে যাই। তখন থেকেই ও আমার পেছনে লেগে থাকে এবং আমাকে বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে আমি ওর প্রতি দূর্বল হয়ে পরলে আমাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমাদের গত দের বছরের সম্পর্কে আমাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতী দিয়ে ও একাধীকবার আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে এবং ও চাপ প্রয়োগ করে কয়েক মাস আগে আমার স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেছে।
এছাড়াও গত দের মাস আগে ও এক্সিডেন্ট করেছে বলে আমাকে ফোনে জানায়, এবং বলে আমার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা লাগবে। এটা বলে ও আমার কাছ থেকে আমার গচ্ছিত দুই লাখ টাকা নেয়। এর পর থেকে আমাকে এরিয়ে চলে। আমি বিয়ের কথা বললে ও আমাকে বিয়ে করতে পারবে না বলে জানায়। ওর জন্য আমার সব শেষ হয়ে গেছে, আমার দাবি ও আমাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করুক।
এদিকে এলাকাবাসীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, সম্রাট একটি খারাপ ছেলে। সে ইতি পূর্বেও একাধীক বিয়ে করেছে। তবে বর্তমানে কোন স্ত্রীই নেই। এ ঘটনায় সম্রাটের বিচারও দাবি করেন এলাকাবাসী