স্টাফ রিপোর্টার: রাজবাড়ীর পাংশায় সড়ক দুর্ঘটনায় লিটন চৌধুরী(৩৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে পাংশা আজিজ সর্দারের মোড় -মৃগী নির্মাণাধীন সড়কের মালঞ্চি এলাকার (বড় ব্রিজ) সংলগ্নে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে নিহত লিটন চৌধুরীর ছোট ভাই লিমন চৌধুরী বাদী হয়ে ১৭ জুলাই শনিবার ২ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নিহত লিটন চৌধুরী পাংশা পৌরশহরের সত্যজিৎপুর (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের মশিউর রহমান চৌধুরীর ছেলে।
আসামিরা হলেন ১- কাশেম মহাজন (৪৮) পিতা মোঃ আছমত মহাজন, ২- সুমন মহাজন (৩০) পিতা কাশেম মহাজন উভয় সাং উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের পূর্ব বাগদুলী (কলা বাড়িয়াচরে)
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় লিটন চৌধুরী গত ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে পাংশা টু মৃগী বাজার সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসছিল। এসময় বাগদুলী বাজার পার হলে মালঞ্চি বড় ব্রিজের আগে রাস্তার কাজে ব্যবহৃত একটি মাটির টিলার সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে যায়। এ সময় তার মাথায় আঘাত লাগে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত লিটন চৌধুরীর ছোট ভাই লিমন চৌধুরী জানান রাস্তার কাজে ব্যবহৃত মাটি দীর্ঘদিন যাবত ফেলে রাখার ফলে বৃষ্টি হলেই মাটি গলে রাস্তা পিছল হয়ে যেত। সেদিন আমার ভাই লিটন চৌধুরী যখন মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসছিল। ঠিক তখনই মাটির টিলার কাছে আসলে বৃষ্টিতে ভিজে মাটি নরম হয়ে রাস্তা পিছল হয়ে যাওয়ার কারণে মোটরসাইকেল স্লিপ করে পড়ে গিয়ে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই অব্যবস্থাপনার কারণে আজকে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে আমি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
উল্লেখ্য আসামি কাশেম মহাজন রাজবাড়ী এলজিইডির নির্মিত রাস্তার এই কাজটি অন্য আরেকটি কোম্পানির কাছ থেকে সাব-কনট্রাক্ট নিয়ে কাজ করে আসছেন। পাশাপাশি তিনি কয়েকটি ইট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান (ভাটার) মালিক ও মাটি ব্যবসায়ী।
পাংশা-মৃগী সড়কে চলাচল কৃত কয়েকজন অটো ভ্যান ও ইজিবাইক চালকের সাথে কথা হলে তারা জানান , অনেকদিন ধরেই আমরা দেখছি এই সড়কের মধ্যে জায়গায় জায়গায় মাটি ফেলে রাখা হয়েছে। এ কারণে অনেক বিঘ্ন ঘটে। সতর্ক হয়ে আমাদেরকে গাড়ি চালাতে হয়। তার পরেও মাঝে মধ্যেই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে।
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।