- গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পন্যবাহি ট্রাকে চাঁদাবাজির দায়ে দালাল চক্রের ৭সদস্যকে আটক গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
সোমবার ৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এর আগে পণ্যবাহী পিকাপ ঢাকা মেট্রে ন-(১৭-৬৪৭৭) এর হেলপার নওগাঁ এলাকার আলামিন হোসেন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
আটককৃতরা হলো- গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সিদ্দিক কাজীর পাড়ার মো. রহমান মন্ডলের ছেলে শুভ মন্ডল(২০), নাসির সরদার পাড়ার মো. ছালাম সরদারের ছেলে মো. জাহিদ সরদার(৩৫), সাত্তার মেম্বার পাড়া মো. মোস্তফা সরদারের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম রনি(২০), গোয়ালন্দ পৌরসভার ০২নংওয়ার্ড দেওয়ান পাড়ার আ.ছালাম মোল্লার ছেলে সাকিব মোল্লা(২০), দৌলতদিয়া মজিদ শেখের পাড়ার শুকুর আলী শেখের ছেলে জাকির হোসেন(৩০), বাহিরচর দৌলতদিয়া শাহাদত মেম্বার পাড়ার বারেক শেখের ছেলে নান্নু শেখ(৩৪), হোসেন মন্ডলের পাড়ার আজগর প্রামানিকের ছেলে মো. সেলিম প্রামানিক(৩৪),
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পিকাপ হেলপার আলামিন ৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৯টার দিকে সাতক্ষিরা থেকে পিকাপে মুরগী লোড করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাত ২. ১৫ মিনিটের সময় দৌলতদিয়া বাংলাদেশ হ্যাচারীজ নামক স্থানে বরকত সরদার পাড়া রাস্তার মহাসড়কে যানজটে আটকা পড়েন।
এসময় আটক আসামীরা ৬/৭ জন সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠি সোটা নিয়ে তার পিকাপ এর সামনে এসে সাড়ে ৪ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করে। তিনি চাঁদার টাকা দিতে আপত্তি করলে আসামীরা তাকে ও তার হেলপারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে কিল ঘুষি মেরে এবং লাঠি সোটা দিয়ে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে। এসময় তাদের ভয়ে ডাক চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে ৭জনকে আটক করে এবং অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জন তাদেরকে খুন করার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আটক ৭ জনকে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে। দৌলতদিয়া ঘাটকে চাঁদাবাজ ও দালাল মুক্ত রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।