Tuesday, November 5, 2024

পেশা গাড়োয়ান

নেহাল আহমেদ।রাজবাড়ীঃ রাজবাড়ীর প্রত্যান্ত গ্রাম অঞ্চলে এখনো যোগাযোগের মাধ্যম ঘোড়ার গাড়িব্যবহৃত হয়। ব্যবসায়ীরা গ্রাম থেকে সকল প্রকার মালামাল ক্রয় করে ঘোড়ার গাড়ি যোগে নিয়ে যান শহরে।

সদর উপজেলার বেলগাছী ও রামকান্তপুর ঘুরে দেখা যায়, বেশকিছু ঘোড়ার গাড়ি। রামকান্তপুর থেকে গাছ বোঝাই করে ঘোড়ার গাড়ি যোগে নিয়ে যান জেলার বিভিন্ন জায়গায়। দূরত্ব হিসাবে মণ প্রতি বিভিন্ন মালামালের ভাড়া নেন। কাঁচা রাস্তা যেখানে ট্রাক যেতে পারে না নেই পথ পাড়ি দিয়ে পরিবহন করছেন বিভিন্ন প্রকার মালামাল ও কৃষিপণ্য। এ গাড়ি অনায়াসেই বালির কাদার ওপর দিয়ে চলাচল করতে পারে। আর হাট-বাজার করাসহ মালামাল আনা-নেওয়ার জন্য এ গাড়িই হয়ে উঠেছে উপযোগী বাহন।

ঘোড়ার গাড়ি চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা সাধারণত মাইক্রোবাসের পুরনো চাকা দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি তৈরি করেন। প্রতিটি গাড়ি তৈরি করতে খরচ পড়ে ১০-১৩ হাজার টাকা। আর ঘোড়া কিনতে লাগে আরো এক লক্ষ ৩০-৪০ হাজার টাকা। আর একটি ভালমানের ঘোড়ার দাম এক লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকা সারাদিনে আয় হয় ৫০০-১০০০ টাকা। তা দিয়ে পরিবারের ভরণপোষণসহ ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ বহন করে আসছেন তারা। যেখানে অন্য কোন গাড়ি সাধারণত চলাচল করতে পারে না সেখানেই তারা মালামাল বহন করেন।কাজ থাকলে সংসার ভালই চলে কাজ না থাকলে তিন চার মাস পর্যন্ত বসে থাকতে হয়। তারা আরও জানান, রাজবাড়ী জেলায় প্রায় কয়েক হাজার ঘোড়ার গাড়ি রয়েছে।

উপজেলার রামকান্তপুর ইউপি’র মোল্লার হাটের ব্যবসায়ী, সোনা উল্লাহ, সুরমান আলী ও রাজবাড়ী সদর উপজেলার ওয়াপদা বাজারের ব্যবসায়ী ছবদুল বলেন, আমাদের এলাকায় মালামাল আনা-নেওয়ার জন্য ঘোড়ার গাড়ি ছাড়া অন্য কোনও পরিবহন নেই। একমাত্র ঘোড়ার গাড়ি আমাদের ভরসা।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নে বাসিন্দা মোঃ আইয়ুব আলী সরকার বলেন, গ্রামাঞ্চলে মালামাল পরিবহনের জন্য অন্যতম বাহন হিসাবে দাঁড়িয়েছে ঘোড়ার গাড়ি। যার কারণে ঘোড়ার গাড়ি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here