- গোয়ালন্দে প্রতারনার দায়ে ফায়ার সার্ভিসের এক গাড়ি চালককে আটক করে জনতা। তার নাম সিরাজ হায়দার ওরফে বিল্লাল।তবে টাকা ফেরত দেয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
তিনি নিজেকে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ষ্টাফ হিসেবে পরিচয় দেন।কিন্তু তিনি মূলত ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশনের গাড়ি চালক। তার বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলায়। গত শনিবার গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন দোকান হতে তিনি প্রতারনা করে গ্যাস সিলিন্ডার হাতিয়ে নেন। এছাড়া লাইসেন্স করা ও লাইসেন্স নবায়ন করার কথা বলেও অনেকের কাছ থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে । এ ধরনের অভিযোগে উপজেলার দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকা হতে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনে সোর্পদ করে।
ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে সিরাজ হায়দার দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকার গণেশের খাবার হোটেল থেকে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের লাইসেন্স করার কথা বলে ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।একইভাবে আরো কয়েকটি হোটেল থেকে তিনি টাকা হাতানোর চেষ্টা করলে ব্যাবসায়ীরা তাকে সন্দেহ করেন।
এক পর্যায়ে তারা সিরাজকে আটকে রেখে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনে খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে সিরাজ হায়দারকে তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যান।দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মুদি দোকানী রিপন সরদার বলেন,ইতোপূর্বে ফায়ার সার্ভিসের পোশাক পরিহিত এই ব্যক্তি নিজেকে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ষ্টাফ, নাম বিল্লাল বলে পরিচয় দেন। তিনি জরুরি কাজের কথা বলে আমার দোকান থেকে একটি গ্যাস সিলিন্ডার হাতিয়ে নেয়।একইভাবে গোয়ালন্দ বাজারের আরো দুটি দোকান থেকে সে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার হাতিয়ে নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করেন। গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইনচার্জ গোলাম সারওয়ার বলেন, আমরা সিরাজ ওরফে বিল্লালের বিরুদ্ধে ৩ টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।তবে অভিযোগকারী ৩ জনেরই ক্ষতিপূরণের টাকা সিরাজ পরিশোধ করে দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে দেয়া হয়েছে। সে তার কর্মস্হলে যোগ দিয়েছে। ইনচার্জ আরো বলেন, সিরাজ নেশা করতো বলে খোঁজ নিয়ে জেনেছি।নেশার টাকা জোগাড় করতেই সে এ ধরনের প্রতারণা করতো।
অভিযুক্ত সিরাজ হায়দার বলেন, আমি অন্যায় করেছি, ভুল করেছি । এর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।