নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজবাড়ী প্রতিনিধি: র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর অভিযানে রাজবাড়ীতে প্রবাসী আল-আমিন (২৮) হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন: পাবনা জেলার আমিনপুর থানার কোমরপুর গ্রামের মৃত আলো মৃধার ছেলে মো. আব্দুস সালাম ঠান্ডু (৩৫) এবং একই থানার চক এলাকার আব্দুস শুকুর গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে জুয়েল রানা (৪০)।
শুক্রবার (২ মে) সকালে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
নিহত আল-আমিন পাবনার আমিনপুর থানার সিদ্দিকনগর রামনারায়ণপুর গ্রামের আবু বক্কর মণ্ডলের ছেলে। সে মালয়েশিয়ায় থাকতো।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, গত ২৫ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে আল-আমিন তার কয়েকজন আত্মীয়ের সঙ্গে রাজবাড়ীর ঢালার চরে বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে দুপুর দেড়টার দিকে তার ফুপাতো বোন জামাই মেঘা সরদার মোটরসাইকেলে করে আল-আমিনকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার রাখালগাছি বাজারে নিয়ে যান। এ সময় পাবনার আব্দুস সালাম ঠান্ডু ও জুয়েল রানা সহ কয়েকজন চারটি মোটরসাইকেলে সেখানে এসে আল-আমিনকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করেন। পরে তাকে যমুনা নদীতে ফেলে দেন। পরদিন ২৬ এপ্রিল পুলিশ নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় আল-আমিনের মামা লিটন কাজী বাদী হয়ে গোয়ালন্দঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি মেঘা সরদারকে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক শামীম হাসান সরদার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আল-আমিনকে হত্যার পর ঘাড় মটকিয়ে নদীতে ফেলে দেন আসামিরা। ১ মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এবং র্যাব -১২ এর সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদী ও সাঁথিয়া থানায় অভিযান চালিয়ে আব্দুস সালাম ঠান্ডু ও জুয়েল রানাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের গোয়ালন্দঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। ‘