উজ্জল হোসেন, পাংশা: রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের মৃত আমজাদ আলীর ছেলে মোঃ এনামুল হক বাচ্চু বিদেশে গিয়ে তেমন কিছু করতে না পেরে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে কি করবেন এমন চিন্তায় শেখ হাসিনার ঘোষনা একটু জায়গায় যেন অনাবাদি না থাকে সেই চেতনা নিয়ে প্রায় ১০০ শতাংশ জমিতে দেশে এসে সবজী চাষে মনোনিবেশ করেন বাচ্চু। নিজেদের জমিতে বিভিন্ন সবজী চাষ করে সফলতার মুখ দেখতে চেয়েছিলেন তিনি সেই সাথে পরিবার পরিজন নিয়ে একটু সুখের আশায় বুক বেধেছিল তার পরিবার সেই পরিকল্পনায় প্রায় ১০০ শতাংশ জমির উপর বিভিন্ন সবজী চাষ করেছিল এনামুল হক বাচ্চু, ইতি মধ্যে তিনি শসা, করলা বিক্রির শুরু করেছিল, আশা অনুযায়ী ফলন হওয়ায় বেশ খুশি ছিল এনামুল হক বাচ্চু।
এ দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শুক্রবার কোন এক সময় বাচ্চুর জমির শসা গাছ কেটে দিয়ে গেছে দুর্বত্তরা, একই মালিকের রাস্তার অপর পাশে আর একটি ক্ষেতে বন মারা ঔষুধ দিয়ে শসা, করলা, টমোটোর কাছ ধংষ করেছে যার কারনে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে এনামুল হক বাচ্চু। সেই সাথে তিনি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন সবজী চাষে।
এনামুল হক বাচ্চু বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছিলেন একটু জায়গাও যেন খালি পড়ে না থাকে সেই অনুপ্রেরনায় আমি আমার জমিতে বিভিন্ন সবজী আবাদ করেছি সেই সবজী ধংষ করে আমার প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে তারা। সবজী চাষে প্রায় ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ব্যায় হয়েছে আমার, এ সবজী চাষে লক্ষমাত্র ছিল প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা।
৬ শত শসার গাছ রয়েছে তার একটি গাছে প্রায় ৩ থেকে ৪ কেজি করে শশা হচ্ছিল। বাচ্চু বলেন, দির্ঘদিন ধরে বাঁশ কাটা নিয়ে আমার সাথে বিরোধ চলে আসছিল আমার প্রতিবেশী একই গ্রামের সাইদুলের সাথে সে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল যে শশা, করলা গাছ ধংষ করে তোর পথে বসিয়ে দিব। বাচ্চু বলেন পরিকল্পিত ভাবে সাইদুল, জুয়েল, মতিন, সামছুল আমার এ ক্ষতি সাধন করেছে আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
শনিবার সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে আর একটি ক্ষেতে বনমারা ঔষুধ দেওয়া হয়েছে যার কারনে গাছ গুলো মরতে শুরু করেছে, স্থানীয়রা বলেন এটা কোন স্বাভাবিক মানুষের কাজ না এরা অমানুষ যারা ফসলের সাথে এমন শ্রুত্রতা করতে পারে তারা মানুষের মধ্যেই পড়ে না। স্থানীয়রা এ ঘটনার ত্বীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেই সাথে এ ঘটনার সুষ্ট বিচার দাবী করেছেন তারা। পাংশা উপজেলা কৃষি অফিসার রতন কুমার ঘোষ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি যারা এ রুপ কাজ করতে পারে তাদের কোন ছাড় দেওয়া উচিৎ নয় এদের কঠোর শান্তি হওয়া দরকার, বনমারা দিলে বেশি করে পানি স্প্রে করতে হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
মাত্র ৭টি বাশ কাটা নিয়ে ঘটনার সুত্রপাত হয়ে দির্ঘ ২ থেকে আড়াই মাস এ নিয়ে নানা ভাবে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংশা করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করে। পরে পাংশা মডেল থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় এ ঘটনার মিমাংশা হওয়ার পরদিন প্রায় এ একর জমির সবজী শসা, করলা, টমোটোর কাছ কেটে ফেলেছে একই সাথে একটি জমিতে বনমারা (ঘাস নিধন) ঔষুধ নিয়ে শসা, করলা, টমোটোর কাছ ধংষ করেছে প্রতিপক্ষ।