মোজাম্মেল হক,গোয়ালন্দ: ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পরার ভয়ে নদীতে ঝাপ দেওয়ার পর বাঁধন মোল্যা (২৮) নামে এক যুবকে উদ্ধার করে দৌলতদিয়ানৌ-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। বাঁধন বরগুনা জেলার তালতলির মালেক মোল্লার ছেলে।
৫ই আগস্ট (শনিবার) সকাল ১১ টার দিয়ে দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া গামী রো রো ফেরি বরকত থেকে এক মহিলার ব্যাগ ছিনতাইয়ের সময় ফেরীর যাত্রীরা দেখে ফেলায় পদ্মা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
নদীর স্রোতে ভেসে যাওয়া দেখে ট্রলার নিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করেন মো. চান্দু মোল্লা নামে এক মাছ ব্যবসায়ী। পরে ওই যুবককে ছিনতাইকারী সন্দেহে নৌ-পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মাছ ব্যাবসায়ী চান্দু মোল্লা জানান, তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেছিলেন। হঠাৎ নদীতে একজনকে ভেসে যেতে দেখেন। এরপর তিনি ট্রলার নিয়ে নদীর ৫ ও ৭ নম্বর ফেরি ঘাটের মাঝামাঝি স্থান থেকে তাকে উদ্ধার করেন। আর কিছুক্ষণ পরে গেলে ওই যুবককে উদ্ধার করা সম্ভব হতো না। কারণ সে ক্লান্ত হয়ে ডুবতে শুরু করেছিলেন। নদীর পাড়ে আনার পর স্থানীয়দের থেকে জানতে পারেন ওই ব্যাক্তি ছিনতাইকারী। পরে তাকে নৌ-পুলিশের কাছে তুলে দেন তিনি।’
এ বিষয়ে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল কবির জানান, দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া রো রো ফেরি বরকত থেকে ওই যুবক নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ সময় স্থানীয়রা ট্রলার নিয়ে তাকে উদ্ধার করে পুলিশে দেন। জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে বাঁধন ।
তিনি আরও বলেন, ফেরিতে ওই যুবক ছিনতাই করতে গিয়ে জনগণের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ডিএমপি’তে একটি মাদক মামালা রয়েছে। গত এক মাস হলো জেল থেকে বের হয়েছে সে । তার ৬ বছর ও ১১ বছর বয়সী ২ টি ছেলে রয়েছে। তারা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। এ বিষয়ে আইনী ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি । ‘
জানাগেছে অনেক আগে দৌলতদিয়ায় হোটেলে কাজ করতো পরে সেখান থেকে পতিতা পল্লী’র এক মেয়েকে বিয়ে করে নিজ জেলায় চলে যায়। সে মেয়ে পরে অন্য জনের সাথে পালিয়ে যায় । এখন বাঁধন ভবঘুরে প্রকৃতির , মাদক সেবন, বিক্রি ও ছিনতাইয়ের মত বিভিন্ন অপরাধের সাথে সে জড়িত ,গত এক মাস হলো জেল থেকে বের হয়েছে সে ।