Saturday, November 9, 2024

ফের নদী ভাঙন,হুমকিতে শহর রক্ষা বাঁধ

স্টাফ রিপোর্টার:  রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ সংলগ্ন গোদার বাজার এলাকায় পদ্মা নদীতে ফের নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ১লা অক্টোবর সন্ধ্যা পৌনে টার দিকে ভাঙ্গন শুরু হয়। এ সময় প্রায় দেড়শত মিটার পদ্মার পাড় নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ৩-৪ মিটারের মধ্যেই রয়েছে শহর রক্ষা বাধ। নদী ভাঙ্গনের কারনে এখন হুমকিতে রয়েছে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাধ। এ সময় ভাঙ্গন আতঙ্কে প্রায় ২০টি পরিবার অন্যত্র চলে যেতে দেখা যায়।

জানাগেছে, শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প (ফেজ-২) দুইটি কোম্পানি বাস্তবায়নে কাজ করছে। যেখানে ভেঙ্গেছে এ এলাকায়  ৩৬৭ কোটি টাকা ব্যায়ে কাজ করছে ডিবি এল কোপানি।

গত ২৮শে সেপ্টেম্বর দুপুরে চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিলীনের পর আবারো নদীতে ভাবঙ্গনের কবলে এলাকাবাসীরা অসহায়ের মত যে যার মত ঘরের গরু ছাগল সহ প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র অন্যত্র নিয়ে চলে যেতে দেখা যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘর বাড়ী ভাঙ্গন হুমকীতে অন্যত্র চলে যাচ্ছে স্থানীয় মমতা বেগম। তিনি জানান, আমার দুইছেলে আর দুই মেয়ে । এখন আমি কোথায় যাবো,আপাতত জিনিস পত্র গুলো নিয়ে রাস্তায় রাখি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের ধীর গতি ও অপরিকল্পিত কাজের কারনে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এমন কি কয়েক দফায় নদী ভাঙ্গনের পর ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকার প্রায় নিকট থেকে চলছে বালু উত্তোলন, এ কারনেই ঘন ঘন নদী ভাঙ্গন দেখা দিচ্ছে।

স্থানীয় বাসীন্দা আ.লীগ নেতা মনোয়ার হোসেন মনো প্রতিবেদক কে জানান, আপনাদের সাথে কথা বলে আর কি হবে। কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করে এখানে নদীতে অনিয়ম করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কাজে কোনা কাজ হচ্ছে না। যখন কাজ করার তখন কাজ না করে বর্ষার মৌসুমে কাজ করে , নদীর পাড়ের নিচে ডাম্পিং না করে বালুর বস্তা উপরে উপরে ফেলে যাচ্ছে ।তাদের একাধিকবার বলার পরও কোন কথা তারা শোনেনা। এখন নদীর পাড়ের মানুষ গুলো কোথায় যাবে। মানুষের এ পরিণতি দেখার কেউ নাই।

স্থানীয় বাসিন্দা বাবলু জানান, এ পাশ দিয়ে নদী ভাংছে অন্যপাশ দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে আর সে বালু বলগেটে করে এখান দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । বলগেটের পানির আঘাতেই তো পাড় ভেঙ্গে যায়,আবার এখান দিয়ে বালু নিয়ে যায় অথচ এখানে বালুর বস্তা না দিয়ে অন্য যায়গায় বালুর বস্তা দিচ্ছে। এ এলাকাতে বালুর কোন বস্তাই ফেলানো হয়নাই।

তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ডি অংকুর জানান, নদীর বর্তমান গতি পথের পরিবর্তন হয়েছে। তিনি বলেন গোদার বাজার ,চর সেলিম পুর এলাকায় দুইমাসে কয়েকবার ৩-৪ কিলোমিটার ভেঙ্গেছে। এটা মূলত নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারনে হয়েছে। নদীর তলদেশে গভীরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নিচের ডাম্পিং গুলো নদীর তলদেশে চলে যাচ্ছে আর উপরের জিও ব্যাগ গুলো নিচে চলে যাচ্ছে।আমরা ডাটা অনুসারে নতুন ডিজাইন করে নতুন ভাবে কাজটা সম্পন্ন করবো। আপাতত ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর মাধ্যমে ভাঙ্গন প্রিতিরোধের চেষ্ঠা করছি।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here