প্যারিস : ফরাসি কর্তৃপক্ষ সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে এমন শহরগুলোতে শক্তিবৃদ্ধি করতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করেছে এবং রবিবার ভোরে শতাধিক লোক গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশের গুলিতে আলজেরিয় বংশোদ্ভুত ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যুর পরে শুরু হওয়া সহিংসতার পঞ্চম রাতে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি সহিংসতায় জড়িত সন্দেহভাজন লোকদের গ্রেফতার করা হয়।
গতরাত (রবিবার) ৩:০০ টা পর্যন্ত ফ্রান্স জুড়ে মোট ৪৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বলেছে, মঙ্গলবার প্যারিসের শহরতলিতে কিশোর নাহেল এম এর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা শুরু হওয়ার পর থেকে সহিংসতার মাত্রা হ্রাস পেয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন রবিবার ভোরে টুইটে, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর দৃঢ় পদক্ষেপের জন্য একটি শান্ত রাত অতিবাহিত হওয়ায় তাদের ধন্যবাদ’ জানিয়েছেন।
দারমানিন এর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন , নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৫,০০০ সদস্য রাতারাতি মোতায়েন করা হবে, একই সংখ্যা এর আগের রাতেও মোতায়েন করা হয়।
তবে অতিরিক্ত বাহিনী এবং সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে লিয়ন, গ্রেনোবল এবং মার্সেইতে, যেখানে আগে তীব্র দাঙ্গা দেখা গিয়েছিল।
প্যারিস এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে, যেখানে প্রায় ৭,০০০ অফিসার বহাল ছিলেন, রবিবার সকাল ৩:০০ টা (গতরাত ৩টা) পর্যন্ত ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মার্সেইতে, পুলিশ শনিবার সন্ধ্যায় শহরের কেন্দ্রে ক্যানবিয়েরে প্রধান সড়কে যুবকদের দলকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এএফপি সাংবাদিক এ কথা জানিয়েছেন।
মধ্যরাত নাগাদ, লিয়ন এবং মার্সেইতে কর্তৃপক্ষ আগের রাতের তুলনায় কম দাঙ্গার রিপোর্ট করেছে, দুই শহরে গতরাত ১:৩০ টার মধ্যে ৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বেশ কয়েকটি শহরে রাতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত নাহেলের মৃত্যুর প্রতিবাদে আবারও আধুনিক ফ্রান্সে তীব্র জাতিগত উত্তেজনা উন্মোচিত হয়েছে, পুলিশের ব্যাপারে তদন্তের দাবি জোরদার হয়েছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘুদের এককভাবে অভিযুক্ত করে আসছিলো।
সূত্রঃ ২ জুলাই, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক)