Saturday, December 21, 2024

বরিশালের থ্রী এস পেস্ট্রি শপ ও কারখানায় মোবাইল কোর্ট- এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড”

ঢাকাঃ ৩০শে আগস্ট (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব শাহ্ মোঃ সজীব এর নেতৃত্বে থ্রী এস পেস্ট্রি শপ ও কারখানা, নতুন বাজার, বিএম কলেজ রোড, বরিশালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে দেখা যায়, পঁচা সবজি পাওয়া যায়, পোড়া তেল ব্যবহার করছে, কিছু খাবার (লাচ্ছি ও দই, রুটি) মোড়কীকরণে লেভেলিং প্রবিধানমালা লঙ্ঘিত, ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ নেই, ফায়ার লাইসেন্স নেই, পরিবেশ ছাড়পত্র নেই, রান্না ঘরের ফ্লোর অপরিষ্কার, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ নেই, প্রিমিসেস লাইসেন্স নেই, ফ্রিজ নোংরা, মাংস ও আইসক্রিম এক ফ্রিজে রাখা, ডাস্টবিন খোলা, রান্না ও কাঁচা খাবার একত্রে ফ্রিজে রাখা হয়েছে, ডেট ম্যানেজমেন্ট ত্রুটিপূর্ণ, রান্নাঘরে খাবার ঢাকনাবিহীন, মাছি ও তেলাপোকার দৌরাত্ম, ক্রয় ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষিত নয়, মেয়াদোত্তীর্ন ও পঁচা খেজুর পাওয়া যায় প্রায় ৮০ কেজি, পেস্ট কন্ট্রোল নেই, খাবারের প্যাকেটে পিন ব্যবহার করা হয়েছে, মানহীন কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হচ্ছে কেকে ইত্যাদি। এ সকল অপরাধে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী থ্রী এস পেস্ট্রি শপ ও কারখানা কর্তৃপক্ষকে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড প্রদান অনাদায়ে ম্যানেজারকে ১ (এক) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ম্যানেজার তার অপরাধ স্বীকারপূর্বক অর্থদণ্ড দিতে চান এবং তাৎক্ষণিক উক্ত অর্থদন্ড আদায় করা হয়। উল্লেখ্য, বরিশাল শহরে তাদের চারটি আউটলেট রয়েছে যার খাবার এখান থেকে সরবরাহ করা হয়।

থ্রী এস পেস্ট্রি শপ ও কারখানা কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়। থ্রি এস পেস্ট্রি শপ ও কারখানা কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন ও ঘাটতি কাগজপত্র অতিসত্বর সংগ্রহ করবেন।

বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জানান, “খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সর্বদা কাজ করছে। আর এ ধরনের মোবাইল কোর্ট ও মনিটরিং কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে।” এছাড়া তিনি খাদ্য ও খাদ্য স্থাপনা নিয়ে কারো কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা ৩৩৩ তে কল করে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে জানাতে নাগরিকদের অনুরোধ করেন। বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া প্রত্যেক জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিরাপদ খাদ্য অফিসার (এফএসও) এর নিকটও অভিযোগ করা যাবে। এছাড়া অনলাইনে জিআরএসে গিয়েও অভিযোগ জানানো যাবে।

অভিযানকালে বিএফএসএর মনিটরিং অফিসার জনাব মোঃ ইমরান হোসেন মোল্লা, বরিশালের নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব আবু নাসের মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, বরিশাল সদরের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক জনাব মো. জাকির হোসেন, বিএফএসএ এর অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি চৌকস টিম উপস্হিত ছিলেন।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here