উজ্জ্বল হোসেন,পাংশা প্রতিনিধি : রাজবাড়ী পাংশায় নিজবাড়ী থেকে রুনা খাতুন (৩০) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার ভোর রাতে এ মরদেহ উদ্ধার করে পাংশা মডেল থানা পুলিশ। উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ খামারডাঙ্গী গ্রামের (কাতার) প্রবাসী আনিছুর রহমানের বসতবাড়ী থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ আনিছুর রহমানের স্ত্রী।
নিহত গৃহবধুর চাচা শ্বশুর আতাহার মন্ডল বলেন, আমার নাতি (নিহত গৃহবধুর কন্যা) উম্মে সিনহা (১০) তাদেরকে জানিয়েছেন যে, উম্মে সিনহা গভীর রাতে ঘুম ভাঙলে দেখে তার দেড় বছর বয়সী ছোট ভাই কান্না করছে। তার মা ঘরে নেই। বারান্দায় এসে দেখেন প্রতিবেশী মিলন শেখ কে। তাকে জিজ্ঞাসা করেন আমার মা কোথায়? মিলন শেখ উত্তর দেয়, তোমার মা আমাদের বাড়িতে গিয়েছে। মাকে ডাকতে গেলে মিলন শেখ তার মুখ চেপে ধরে টয়লেটের মধ্যে নিয়ে আটকে রাখে। কিছুক্ষণ পরে টয়লেটের দরজা খুলে দিয়ে পালিয়ে যায় মিলন। পড়ে দেখেন দড়ি দিয়ে পা বাঁধা অবস্থায় তার মা বাড়ির উঠানে পড়ে আছে। মায়ের কোন সারা-শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন। প্রতিবেশীরা এসে দেখেন তার নাম মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
প্রতিবেশী মিলন শেখের বাড়ীতে গেলে তার স্ত্রী চম্পা খাতুন জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আমি আর আমার স্বামী একসাথেই শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। পরেও কোথাও গিয়েছে কিনা তা আমি জানিনা। আপনার স্বামী কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ সকালে আমার স্বামীকে নিয়ে গেছে। মিলন শেখ (২৫) একই গ্রামের খলিল শেখের ছেলে। চম্পা খাতুন আরও জানান, নিহত গৃহবধুর বাড়িতে তিনি কাজ করতেন শারীরিক অসুস্থতার কারণে ৬ মাস ধরে কাজ করতে পারেন না তিনি। স্থানীয়রা জানান, মিলন শেখ কোন প্রকার কাজ-কাম করেন না। তার স্ত্রী চম্পা খাতুন মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে সংসার চালান।
এ ঘটনায় রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা জানান, মরা দেহ ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বজনরা থানায় এসেছেন অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে মামলা রুজু করা হবে। এ ঘটনায় মিলন শেখ নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। কেন এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি।’