মোঃ আমিরুল হক ঃ ২৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর বাজারের খান মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৮ টি দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক ক্ষতির পরিমান ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা বলে ধারনা করছে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ঐতিয্যবাহী বহরপুর বাজারের খান মার্কেটে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে আবুল বাসারের তুলার গোডাউন থেকে আগুনের শীখা দেখা দেয়। দেখতে দেখতে মুহুর্তেই আগুনের লেলীহান শীখা চার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মোঃ ওমর আলীর ইলেকট্রনিক্স এর দোকান, শফিকুল ইসলামের কসমেটিক্সের দোকান, আবুল বাসারের তুলার গোডাউন, আব্দুল কুদ্দুসের ভাংড়ির দোকান ২টি, মোঃ ফয়সাল শেখের ইজিবাইকের পার্টসের দোকান, শ্রী সুদেব কুমার সরকারের জাল, দঁড়ি, সুতার দোকান, ওমর ফারুকের ভাংড়ির দোকান ও মোঃ আবু রাসেল এর ডেকোরেটার এর দোকান পুড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে আনুমানিক ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানায়।
খবর পেয়ে বালিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ষ্টেশন অফিসার সৈয়দ শরাফত আলীর নের্তৃত্বে দীর্ঘ দুই ঘন্টার অক্লান্ত পরিশ্রমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় ষ্টেশন অফিসার বলেন, এখন পর্যন্ত আগুনের সূত্রপাত হিসাবে কিছু বলা সম্ভব না। তবে ব্যাপক তদন্তে ঘটনার বিষয়টি জানা যাবে।
বহরপুর বাজার পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম বিশ্বাস বলেন, আমরা বাজারেই ছিলাম। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে এসে স্থাণীয় লোকজনের সহযোগীতায় আগুন নেভাতে চেষ্টা চালাই। এরই মধ্যে বালিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করা হয়। আজ হাটের দিন রাস্তায় অতিরিক্ত ভ্যান চলাচলের কারনে ফায়ার সার্ভিস পৌছাতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর মেধা দিয়ে বাজারকে বড় ধরনের দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বহরপুর বাজারে মার্কেট মালিকগণ অপরিকল্পিত মার্কেট তৈরী করেছেন। মার্কেট তৈরীর প্রথমে তড়িৎ পানি পাওয়ার ব্যাবস্থা করতে হয়। অথচ একটি মার্কেটেও কোনো পানির ব্যাবস্থা নাই। ফায়ারের গাড়ী এসে পানি খুঁজতে খুঁজতে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। সরকারের উচিৎ এই বাজারে কয়েকটি গভীর নলকূপের ব্যাবস্থা করা।