সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক রাষ্ট্রদূত-অ্যাট-লার্জ রাশেদ হুসাইন আজ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও স্বাধীনতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর লোকদের শান্তিপূর্ণভাবে একসাথে বসবাস করতে দেখে খুব উৎসাহিত হয়েছি।’
মার্কিন দূত বলেন, “যেসব মহল বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে বিভাজন ও জটিলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে তাদের অবশ্যই থামাতে হবে। আমাদের অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে একসাথে বসবাস করে যেতে হবে।” হুসাইন বলেন, ওয়াশিংটন বিশ্বের সর্বত্র ধর্মীয় স্বাধীনতা দেখতে চায়।
পরে আলম সাংবাদিকদের জানান, তিনি সফররত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রকৃত চিত্র এবং এটি বজায় রাখতে সরকারের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। প্রতিমন্ত্রী অ্যাম্বাসেডর এ্যাট-লার্জকে জানান, দেশে সবাই সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করে এবং বাংলাদেশ কাউকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু অভিহিত করে না। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ভুয়া ফেসবুক আইডির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে, বৌদ্ধদের উপর হামলার প্ররোচনা দিয়েছে এবং কয়েকটি হিন্দু মন্দির ভাংচুর করেছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার এসব সমস্যা সমাধানে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু ও বুদ্ধদের সহায়তায় আন্তরিকভাবে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছি যে বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে একসাথে কাজ করবে।’ তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতেও আলোচনা করেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত নৃশংসতার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক অবস্থান আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মামলার জন্য সহায়ক হবে।
মার্কিন দূত হুসাইন বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেশ কিছু বৈঠক করতে চারদিনের সফরে রোববার ঢাকায় আসেন।
বাসস_