স্টাফ রিপোর্টার: ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম ও গবেষণাগার বিভাগের পরিচালক (উপসচিব) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন বলেছেন, খোলা ভোজ্যতেলে নির্ধারিত মান অনুযায়ী ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-ডি পাওয়া যায় না। তাছাড়া খোলা তেলের ক্ষেত্রে ফুড গ্রেড কন্টেইনার না হওয়ায় তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় এবং রিফাইনিং প্রসেসে ব্লিচিং করে তেলের রঙ পরিবর্তনের মাধ্যমেও এর গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে। তাই খোলা ভোজ্যতেল বিপণন এবং বিক্রয় পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার(১৯ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ভোক্তার স্বার্থ সুরক্ষায় ভোজ্যতেলের নিরাপদতা ও পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণ বিষয়ে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,দেশের বাজারে খোলা তেল যেভাবে বিক্রি হচ্ছে, সেটা ঠিকভাবে হচ্ছে না। বর্তমানে সরকার সেটি বাধা না দিলেও পছন্দ করছে না। সরকার যে কোনো সময় এটি বন্ধ করে দিতে পারে। বন্ধ করার আগে আপনাদের জানানো হচ্ছে। বন্ধের পর যেন আপনারা বলতে না পারেন, সরকার এটি কী করলো? আগামী ছয়মাস থেকে এক বছরের মধ্যে দেশে খোলা তেল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গেছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সম্পর্কে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম উপবিভাগের উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে সিভিল সার্জন ডাঃ এস এম মাসুদ, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মাজহারুল ইসলাম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ড.মো.শহিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালার স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান।
ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় ভোজ্যতেলের নিরাপদতা ও পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণ বিষয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) বাংলাদেশের প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ফুড ফর্টিফিকেশন লাইলুন নাহার। এসময় তিনি বলেন, ভিটামিন এ ঘাটতিজনিত সকল স্বাস্থ্যগত সমস্যা দূরীকরণে ইউনিসেফ এর কারিগরি এবং গেইন এর আর্থিক সহযোগিতায় শিল্পমন্ত্রণালয় ২০১০ সাল থেকে ভোজ্য তেলের সাথে ভিটামিন এ মিশ্রনের কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে আসছে। এ কার্যক্রম শিশু, গর্ভবতী মহিলা, কিশোর-কিশোরীদের অপুষ্টি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছে। ‘