মোঃ আমিরুল হক ঃ জেলার বালিয়াকান্দীতে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মতিন ফেরদৌস এর বাড়ীসহ দুইটি বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতী সংঘটিত হয়েছে। বুধবার ৩ আগষ্ট দিবাগত রাত দেড়টার পর থেকে ২ টার মধ্যে এই দূর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। অপর বাড়ীটি হলো সৈয়দ মঞ্জুরুল হক এর।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এর সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন ফেরদৌস বলেন, বুধবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে আমার নবাবপুর ইউনিয়নের বলদাখালের বাড়ীতে লোহার তৈরি কোরাবাড়ি দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে একযোগে ১৫/২০ জন মুখোশধারী সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে সকলকে জিম্মি করে ফেলে। এসময় আমি কোনো উপায় নি পেয়ে আমার নিকট থাকা আলমারীর চাবে দিয়ে দেই। তারা তালা খুলে নগদ ৪০ হাজার মতো টাকা ও মহিলাদের গহণার আনুমানিক ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। এবং ঘরে থাকা সকলের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
পরে সকালে ফোনগুলো বাড়ীর পাশে শুকনা খালের জঙ্গলের মধ্যে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
অপরদিকে এই গ্রুপটিই একই গ্রামের পাশাপাশি সৈয়দ মঞ্জুরুল হক এর বাড়ীর গ্রীলের দরজার তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে সকলকে জিম্মি করে ফেলে। এসময় সৈয়দ রুবেল হোসেনকে মারপিট করে নগদ ৪৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। সেই সাথে তার মায়ের গলায় থাকা ১ ভরির স্বর্ণের চেইনটিও ছিনিয়ে নেয় ডাকাতদল। এসময় সৈয়দ মঞ্জুরুল হকের বাড়ীতে বেড়াতে আসা অতিথিদের গাড়ীর ড্রাইভার ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার মুজিবনগর গ্রামের মোঃ আব্দুল বারেক এর ছেলে মোঃ আব্দুল কুদ্দুসকে লোহার রড, হাতুরি দিয়ে বেধরক মারপিট করে চোখ বেঁধে ফেলে রেখে যায়।
এব্যাপারে রাজবাড়ীর সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন সাহা ও বালিয়াকানদি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। তারা বলেন, ঘটনাস্থলে এসেছি, ভূক্তভোগীদের সাথে কথা বলেছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।