Saturday, September 21, 2024

বালিয়াকান্দিতে শহীদনগর ইসলামিয়া মহিলা আলিম মাদ্রাসার তালা ভেঙ্গে চুরি

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শহীদনগর ইসলামিয়া মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারির অফিস কক্ষের হ্যাজবল এর লক ভেঙ্গে চুরি সংঘটিত হয়েছে। এতে অফিস সহকারির লকারে থাকা নগদ ১২ শত টাকা চুরি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কোন জরুরী ফাইলপত্র খোয়া গেছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। চুরির ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাঃ আব্দুর রশিদ বালিয়াকান্দি থানায় সাধারণ ডায়রী করবেন বলে জানিয়েছেন।

চুরির ঘটনায় মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী মোঃ আব্দুস ছালাম জানান, আমি বুধবার রাত্রি ১০টা পর্যন্ত মাদ্রাসায় ছিলাম। আমার স্ত্রী অসুস্থ্য থাকায় ১০টার পর বাড়ীতে চলে যাই। ভোর রাত্রে মাদ্রাসায় এসে অধ্যক্ষ এবং অফিস সহকারির কক্ষের তালা ভাঙ্গা দেখে অধ্যক্ষকে ফোন দিয়ে অবহিত করি। তিনি তাৎক্ষনিক এসে বিষয়টি দেখেন। তবে রাত ১০টার পর কেবা কারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে। প্রতিদিন আমি ভোর রাত পর্যন্ত পাহারা দেই। শুধু আজই আমার স্ত্রী অসুস্থ্য থাকায় ১০টার পর বাড়ীতে যাই। আর আজই এই ঘটনা ঘটেছে। যেই ঘটনা ঘটাক না কেনো আগে থেকেই হয়তো পরিকল্পনা করা ছিলো।
শহীদনগর ইসলামীয়া মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাঃ আব্দুর রশিদ বলেন, প্রতি দিনের ন্যায় বুধবার অফিসের কাজকর্ম শেষ করে বিকালে বাড়ীতে যাই। ভোর রাত্রে মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী মোঃ আব্দুস ছালাম ফোন করে তালা ভাঙ্গার খবর দেয়। আমি ফজরের নামাজ আদায় করে তরিঘরি মাদ্রাসায় এসে ঘটনাটি দেখতে পাই এবং তাৎক্ষনিক মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মহোদয়কে অবগত করি। তিনিও সকালে মাদ্রাসায় এসে তালা ভাঙ্গার বিষয়টি দেখেন। সভাপতি নৈশপ্রহরী আব্দুস ছালামকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে আমি মাদ্রাসার শিক্ষকমন্ডলী, মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃপক্ষ ও স্থাণীয় চেয়ারম্যান এর সাথে আলাপ করে বালিয়াকান্দি থানায় চুরির ঘটনায় সাধারণ ডায়রী করবো। তিনি বলেন, মাদ্রাসার দুটি কক্ষে তালা ভেঙ্গে আমার কক্ষে থাকা স্টিলের আলমারি ভেঙ্গেছে, টেবিলের ড্রয়ার ভেঙ্গেছে। আর অফিস সহকারি বসির আহম্মেদ এর কক্ষের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে তিনটি আলমারির ও ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গেছে। তার লকারে থাকা নগদ ১২শত টাকা চুরি হয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খোয়া গেছে কিনা এখনও স্পষ্ট নয়।
মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মুনসুর খান বলেন, সকালে অধ্যক্ষের ফোন পেয়ে মাদ্রাসায় এসে দেখি দুইটি অফিসের তালা ভাঙ্গা। নৈশপ্রহরীকে ডেকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করি। তবে তার কিছুটা গাফিলতি আছে। নৈশপ্রহরীর কাজ হলো রাত্রি ১০ টার পর থেকে ভোর রাত্রি পর্যন্ত। অথচ তিনি ১০ টার পর প্রতিষ্ঠানে ছিলেন না। তার গাফিলতিতেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আল্লাহ্ র মেহেরবাণী বড় কোন ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে।

সর্বশেষ পোষ্ট

এই ধরনের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here