রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ বিভিন্ন সময়ে হারানো ৯২টি হারানো মোবাইল ফোন জিডি মূলে উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ ।
২৭শে মে (সোমবার) রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে মোবাইল ফোন গুলো প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দেন পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ পিপিএম।
এ সময় রাজবাড়ী সদর থানার ২৬ টি গোয়ালন্দ ঘাট থানার ১৪ টি , পাংশা মডেল থানার ২৫ টি, কালুখালী থানার ১৪ টি, বালিয়াকান্দি থানার ১৩ টি সহ মোট ৯২ টি হারানো ফোন উদ্ধার করে ফোন গুলো প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয় ।
পুলিশ সুপার জানান, রাজবাড়ী জেলা একটি ছোট জেলা এ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিত যথেষ্ঠ ভালো। এছাড়াও প্রান্তিক মানুষের মোবাইগুলো উদ্ধার ও সাইবার ক্রাইম সংক্রান্তে খুব দায়িত্ব সহকারে করা হয়, মোবাইল হারানো বা বিকাশের মাধ্যমে টাকা নিয়ে যাওয়া ও একজনের পারসোনাল ছবি পোষ্ট করে তাকে ব্লাক মেইল করা ভিকটিমের ভিতরে যে মানষিক কষ্ট সেই কষ্টটা দুর করার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করি।
মোবাইল, বিকাশ প্রতারনা, ফেসবুক হ্যাক করে টাকা নিয়ে যাওয়া ও ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোষ্ট মুছে ফেলার পর ভিকটিমের মুখের হাসি, সেটি আমাদেরকে অর্থে আরও কাজে অনুপ্রানীত করে। এ কাজটি আমরা করে যাব। রাজবাড়ী জেলার প্রতিটি থানায় মোবাইল হারানো জিডি, বিকাশ প্রতারনা ও ফেসবুক সংক্রান্তে জিডি হয়। সেই জিডির প্রেক্ষিতে সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল এর একটি চৌকস টিম উক্ত মোবাইলগুলো উদ্ধার, বিকাশ প্রতারনা, ফেসবুক হ্যাক সহ অন্যান্য সাইবার অপরাধ সংম্পর্কে সর্বদা নজরদারী করে থাকে। হারানো মোবাইল প্রকৃত মালিক পেয়ে সকলে আবেগ প্রবন হয়ে পড়েন এবং পুলিশের প্রতি আস্থা ছিল তা আরো বহুগুনে বেড়ে গেল।
রাজবাড়ী জেলা পুলিশ প্রশাসনকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইফতেখারুজ্জামান সহ জেলা পুলিশের উদর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৩ই মে রাজবাড়ী সরকারী আর্দশ মহিলা কলেজ এক সেমিনারে ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, সাইবার অপরাধ ও মাদক বিরোধী শীর্ষক সচেতনমেূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর ফলে সাইবার অপরাধ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। জেলা পুলিশ রাজবাড়ীর এ ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে বলেও জানান পুলিশ সুপার ।