রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর আলীপুর স্কুল মার্কেটের গাজী স্টোর নামক দোকানের ভিতরে অসামাজিক কাজের চেষ্টাকালে নারীসহ দোকান মালিক মোঃ রতন গাজীকে আটক করে স্থানীয় ইউপি পরিষদে সোর্পদ করে স্থানীয়রা।
পরে ওই দিনই ২৪শে জুলাই বুধবার আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে সালিশ করেন ইউপি চেয়ারম্যান। ভিকটিম ও বিবাদীর বক্তব্যে গড়মিল থাকায় পরবর্তিতে সালিশ করা হবে বলে দু”জনের মোবাইল ফোন তদন্তের স্বার্থে রেখে দেওয়া হয়।
তবে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক। মুঠোফোনে কথা হলে বিষয়টি একটি চক্রান্ত বলে দাবী করেন অভিযুক্ত রতন গাজী। তবে, রতন গাজীর সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে ও তার সাথে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক হয়েছে বলে জানান ওই নারী। এ ঘটনায়, ভুক্তভোগী নারী রতন গাজী (৩০) এর বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে উল্লেখ, বিবাদী রতন গাজীর সহিত আমার গত সাত মাস ধরে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উক্ত সম্পর্কের জের ধরে রতন গাজী আমাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিবাদীর বন্ধুদের বাড়ীতে সহ বিবাদী নিজের বাড়িতে নিয়ে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কয়েকবার আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। উক্ত সময় বিবাদী আমার সরলতার সুযোগে তার মোবাইল ফোনে আমার কিছু অপ্রীতিকর ছবি ও ভিডিও ধারন করে। পরবর্তীতে আমি বিবাদীকে বিবাহের কথা বললে বিবাদী আজকাল বলিয়া কালক্ষেপণ করে । গত ৩ মাস আগে আমি বিবাদীর সাথে আমাদের বিবাহের ব্যাপারে ফোনে কথা বললে বিবাদী আমাকে বিবাদীর বাড়িতে যেতে বলে। আমি বিবাদীর কথামতো বিবাদী বাড়িতে গেলে বিবাদীর কাছে থাকা আমার আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করিয়া দিবে মর্মে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে পুনরায় আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে ধর্ষন করে। পরবর্তীতে গত ২৪শে জুলাই ১১টার দিকে রতন গাজী আমাকে বিয়ে করবে মর্মে বিবাদীর দোকানে যাইতে বলে। একইদিন আনুমানিক ১২টার দিকে আমি রতন গাজী’র আলীপুর স্কুল মার্কেটে তার দোকান গাজী স্টোরে গেলে বিবাদী আমাকে তার দোকানের ভেতর নিয়ে দোকানের সাটার বন্ধ করিয়া দোকনের মেঝতে আমার পরনের পায়জামা খুলিয়া জোর পূর্বক ধর্ষন করার চেষ্টা করে। এ সময় আমার ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদী দৌড়াইয়া পালানোর চেষ্টাকালে স্থানীয়রা তাকে আটক করে এবং আমাকে উদ্ধার করে। আমাদের দু’জনকেই আলাদীপুর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে সালিশ হয়। স্থানীয় শালিশে কোন সমাধান না পেয়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য ২৬শে জুলাই রাজবাড়ী সদর থানায় হাজির হইয়া অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী নারী।
এ বিষয়ে, রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার আলম প্রধান জানান, অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। ‘