ইমদাদুল হক রানা (বালিয়াকান্দি): রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে গলায় ফাঁস ও বিষপানে দুই জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার দিবাগত ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে উর্মিলা খাতুন (২৮) বাড়ীর সকলের অগচরে গোয়াল ঘরের আড়ার সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। বাড়ীর লোকজন সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে সংবাদ দিলে তিনি গ্রাম পুলিশের সহায়তায় লাশ নিচে নামায়। উর্মিলা জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণবাড়ী গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। শহিদুলের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ায় এক সপ্তাহ আগে গত সোমবার পারিবারিকভাবে ডিভোর্সি উর্মিলাকে দ্বিতীয় স্ত্রী বিয়ে করেন।
মৃতের বাবা জাহিদ শেখ জানান, আমার মেয়ে মানসিকভাবে সমস্যা থাকার কারণে গলায় ফাসি দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। মানসিক সমস্যার কারণে সে প্রথম স্বামীর সংসার করতে পারেনি। এ ঘটনায় বালিয়াকান্দি থানায় একটি অপমৃত্যূ মামলা হয়েছে।
অপরদিকে একই ইউনিয়নের দক্ষিণবাড়ী বলদাখাল ওয়াপদাপাড়া গ্রামে মা এবং খালার সাথে অনুরাগ করে আব্দুল মালেক শেখের ছেলে মোঃ সোয়াইব শেখ (৩২) বিষপান করে। পরে ফরিদপুরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মারা গেছে। নিহত মোঃ সোয়াইব শেখ ২ মেয়ে ও ১ টি ছেলে সন্তানের জনক।
এলাকাবাসী জানায়, মৃত সোয়ায়েব এর মা হালিমা বেগম ঢাকার একটি পোষাক কারখানার কাজ করেন। তার অর্থে বাড়ীতে থাকা ঘরে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন সোয়ায়েব। গত শুক্রবার তার মা বাড়ী ফিরে খালা নয়ন বেগম ওরফে ডালিয়া বেগম ওরফে ডালি ও খালাতো ভাই রাব্বি শেখ মিলে ২ মাসের শিশু সন্তানসহ তাকে ঘর থেকে নামিয়ে দেয় এবং ঘরে থাকা আসবাবপত্র ছুড়ে বাইরে ফেলে দেয়। এসময় আশপাশের লোকজন এলে খালা অকথ্য ভাষায় তারিয়ে দেয়। এতে অসহ্য হয়ে সোয়াইব বাড়ীতে থাকা ঘাস মারার কীটনাশক পান করে । পরে এলাকাবাসী উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর হাসপাতালে প্রেরন করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রাতে তার মৃত্যূ হয়। লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে পুলিশ।