মোজাম্মেল হক লালটু, গোয়ালন্দ: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া বাজার বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে।
বৃহস্পতিবার ৫ অক্টোবর সকাল থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়া এতে দৌলতদিয়া বাজারের প্রতিটা দোকানে বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
দোকান গুলোতে বৃষ্টির পানি ঢুকাতে হাজার হাজার টাকার পণ্য পানিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে। দৌলতদিয়া বাজারে পানি নিষ্কাশন সঠিক কোন ড্রেনের ব্যবস্থা না থাকায় এই দুর্ভোগ পোহাতে হয়এই বাজারের ব্যবসায়ীদের। তাদের দাবি এ বাজারে যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয়েছে তা অপরিকল্পিতভাবে। এই বাজারে সঠিকভাবে ড্রেনের ব্যবস্থা করলে বাজারে কোন রকম বৃষ্টির পানি জমতো না। আর এতে বাজারের ব্যবসায়ীদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।
ব্যবসায়ীদের দাবি দৌলতদিয়া বাজারে সঠিক ভাবে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হোক।
দৌলতদিয়া বাজারে কসমেটিক ব্যবসায়িক মঞ্জু বলেন, আমার দোকানের লাখ দেড়েক টাকার মালামাল পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেল।আজ যদি আমাদের এই বাজারে সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকত। তাহলে আমার দোকানের মধ্যে বৃষ্টির পানি ঢুকতো না ড্রেন দিয়ে পানি বাইরে চলে যেত। আমার মত এই বাজারে অনেক দোকানদারের দোকানে বৃষ্টির পানি ঢুকে পন্য নষ্ট হয়ে গেছে। আমার দোকানের মধ্যে থেকে দুইবার পানি সেঁচে বের করেছি। আবারো পানি ঢুকে গেছে।
ইলেকট্রিক ব্যবসায়িক কালাম ও কাপড় ব্যবসায়ী মনির, মোস্তফা, প্রল্লাদ বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে আমাদের দোকানগুলোতে পানি ঢুকে যায়। আমরা কয়েকবার করে দোকানে সামনে বাদ দিয়ে পানি সেঁচে বের করেছি। বৃষ্টি হলে আবারও ঢুকে যাচ্ছে পানি। দোকানের অনেক পোশাক ও কাপড়ই ভিজে গেছে সেগুলো বাড়িতে নিয়ে গেছি। অনেক টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
আরেক ব্যবসায়ী চানমিয়া, গোপাল রায় বলেন, আমাদের দৌলতদিয়া বাজারে পানি নিষ্কাশনের সঠিক কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। যার ফলে আমাদের দোকানের মধ্যে পানি ঢুকে গেছে। আমরা যে সেলাই মেশিনগুলো চালাই। সে মেশিনগুলোর নিচে বৃষ্টির পানি ঢুকে গেছে।আমরা মেশিন চালাইতে পারছি না। দুবার করে সেচে পানি বের করা হলে আবার বৃষ্টি হওয়াতে পানি ঢুকে গেছে।পানি ঢুকে যাওয়াতে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। দৌলতদিয়া বাজারের বৃষ্টির পানি ড্রেন দিয়ে বের হতে পারে না। এই বাজারে এই দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। আমাদের দাবি এই বাজারে সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হোক।
ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ী মো. লতিফ মন্ডল বলেন, এই ভারী বৃষ্টিতে আমার দোকানে পানি ঢুকে প্রায় তিন লাখ টাকা মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে।এই বৃষ্টির পানি আমার দোকানে ঢুকে যে ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতি পোষানোর মত কোন ক্ষমতা আমার নেই। আমার একটাই দাবি এই দৌলতদিয়া বাজারে পানির নিষ্কাশনের সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হোক ।
দৌলতদিয়া বাজার পরিষদের সভাপতি মোঃ মোহন মন্ডল বলেন, সরকারি কোনো অনুদান এই বাজারে আমরা পাইনি। তারপর ও আমি বাজার ঘুরে দেখি কোথায় দিয়ে পানি বের করা যায়।