মোঃ আমিরুল হক : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ৩নং নবাবপুর ইউনিয়নের বেরুলী বাজার এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের খানাখন্দ ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করেছেন উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর।
রাজবাড়ী ২ আসনের সংসদ সদস্য ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিমের ব্যক্তিগত অর্থায়নে ও নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীরের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে এ সড়ক সংস্কার কাজ করেন। এতে উপকৃত হয়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারী হাজারো মানুষ ও বিদ্যালয়ে গমনকারী শত শত কোমলমতী শিক্ষার্থী।
সরেজমিন দেখা গেছে,বালিয়াকান্দি উপজেলা হতে নবাবপুর ইউনিয়নের বেরুলি বাজারে প্রবেশের প্রধান সড়ক থেকে নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মোড় সড়কের বড় বড় খানাখন্দ হয়ে বেহাল দশা ছিল। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন হাজারও মানুষ, বাজারে আসা ট্রাক চালক, ইজিবাইক ও অটোভ্যান চালকগণসহ বিদ্যালয়ে গমনরত কোমলমতী শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এক কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনাও ঘটত।
দীর্ঘদিন মানুষের এই দুর্ভোগ দেখে বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিমের সাথে পরামর্শক্রমে ব্যক্তি উদ্যোগে সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা নেন। গত দুদিন ধরে
সড়কের বিভিন্ন খানাখন্দে ইট, বালি ও সুড়কি ফেলে শ্রমিক দিয়ে পিটিয়ে চলাচলের উপযোগী মসৃণ করা হয়েছে। এতে মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি অনেকটাই লাঘব হয়েছে।
ওই সড়ক ব্যবহারকারী অটো ভ্যানচালক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “এই সড়কটুকু ভাঙ্গা থাকার কারণে এতদিন অনেক কষ্ট হতো। ভ্যান প্রায়ই উল্টে যেত। চেয়ারম্যান রাস্তা ঠিক করে দিয়েছেন। এখন আর কোনো সমস্যা নেই। ভাঙ্গা-গর্ত ভরাট করার কারণে এখন সহজে ভ্যান চালানো যাচ্ছে।”
ইজিবাইকচালক মোঃ আব্দুল মালেক জানান, “আগে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হতো। অনেক সময় যাত্রী নামিয়ে দিয়ে খালি গাড়ী পার করতে হতো। চেয়ারম্যান সাহেব সংস্কার করে দেওয়ায় এখন সেই সংকট কেটে গেছে।”
নবাবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘”আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। রাস্তা ভাঙ্গা থাকার কারণে জাগায় জাগায় পানি আর কাঁদা থাকত। প্রতিদিন স্কুল ড্রেস পরিস্কার করতে হতো। এবং ভাঙ্গা রাস্তায় চলাচলে সময়ও বেশি লাগত। এখন রাস্তা চলাচলের মতো হয়েছে, সময় কম লাগবে।”
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর বলেন, “এ সড়ক দিয়ে আমার ইউনিয়নসহ আশপাশের আরও কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজন চলাচল করে। সড়ক ভাঙ্গা থাকায় মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে এলজিইডির প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। সড়ক সংস্কার হতে সময় লাগবে বলে তিনি জানান। পরে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিমের সাথে পরামর্শ করি এবং তার সহযোগিতায় ও তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে আমি দায়িত্ব নিয়ে এটি করেছি। আমি চেয়েছি মানুষের কষ্টটা যেন লাঘব হয়।”