মোজাম্মেলহক, গোয়ালন্দ: দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে। পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীর্ব স্রোত দেখা দিয়েছে। তীর্ব স্রোতে পানি ধাক্কা খেয়ে ৫ নং ফেরি ঘাটে এসে লাগছে।পানির ধাক্কা আর স্রোতের গতিতে ঘাটের পাড় ভেঙে নদীতে চলে যাচ্ছে। নদী ভাঙনের কারনে পড়ে বেলা ২টা থেকে ৫ নং ফেরি ঘাটটি সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় যে, মঙ্গলবার দুপুরে পদ্মার ভাঙনে ৫নং ফেরি ঘাটের পন্টুটি নদীতে পড়ে যেতে লাগে সেসময দ্রুত বিআইডাব্লিউটি,র কতৃপক্ষরা পন্টুনটি সরে নেয়। পন্টুনের আশ পাশে দোকান ওখাবার হোটেল গুলো ভেঙে সরিয়ে ফেলে। এরি মধ্যে কয়েকটি টোং দোকান নদীতে বিলিন হয়ে যায়।
গোয়ালন্দ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে গেজ পাঠক ছালমা খাতুন বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বিপাদ সীমার কাছা কাছি ৮ পয়েন্ট ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দৌলতদিয়া ঘাট হকার সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক লালটু মন্ডল বলেন, তিনি বলেন আমি আমার দোকানে বসে আছি এরি মধ্যে দেখছি লোকজন ছুটাছুটি করছে। আমি দ্রুত এসে দেখতে পাই ৫ নং ফেরি ঘাটের পন্টুনের পাশ থেকে বড় বড় চাপ ভেঙে নদীতে পড়ছে। বেলা দুই টা থেকে এই ঘাট সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ। এদিকে ৩ নং ফেরি ঘাট সম্পূর্ণ ঝঁকিতে রয়েছে।
নুরু কাজী বলেন, এই নদী ভাঙনের কারনে আমি চার বার বাড়ী ভেঙে সরিয়েছি। আজ ৫ নং ফেরি ঘাটটি যে ভাবে ভেঙে দেবে যাচ্ছে তাতে আমাদের বাড়ী ঘর আবারও নদীতে গর্ভে চলে যাবে। চেয়াম্যান ও এমপিরা বলে শুধু নদী শাসন হবে কবে হবে। একথা বলতে বলতে ঘাটটি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে।
বিআইডাব্লিউটিএ’ র উপসহকারী পরিচালক মো. মকবুল হোসেন বলেন, হঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীর্ব স্রোতের কারনে ৫ নং ফেরি ঘাটে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মিড ওয়াটার ঘাটটি বন্ধ হয়ে গেছে। ঘাটটি আজ আর চালু করা সম্ভব না। সে কারনে ঘাটটি বন্ধ রেখেছি।বিষয়টি আমাদেন চীফ স্যারকে জানানো হয়েছে আগামী কাল জিও ব্যাগ ফেলে প্রাথমিক ভাবে ঘাটের কাজ করা হবে।