উজ্জল হোসেন, পাংশা : রাজবাড়ীর পাংশায় ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখে একটি স্কুলের নির্মাণাধিন ভবনের সিঁড়ি ঢালাই করার অনুমতি দিয়েছেন উপসহকারী প্রকৌশলী। অনিয়মের অভিযোগে ঢালাই কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। আজ রোববার উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বীর বিক্রম শহীদ খবিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায় দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি ঢালাই দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। বালু, খোয়া ও সিমেন্ট এক সাথে মিশানো হয়েছে। জানা যায়, ঢালাই কাজ শুরুর আগ মুহূর্তে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী।
এ সময় স্থানীয়রা জানায়, খোয়া, বালি ও সিমেন্টের পরিমাণ সঠিক নিয়মে না দিয়ে ঢালাই করার পরিকল্পনা ছিলো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। এক ব্যাগ সিমেন্টের সাথে যে পরিমান বালি আর খোয়া দেওয়ার কথা তার থেকে অনেক বেশি দিয়েছে। তাছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারের অনুপস্থিতিতে কাজ করছিলো। তাই কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
নির্মাণ কাজে নিয়োজিত মো. আমিনুল ইসলাম নামের এক মিস্ত্রী বলেন, ৪০টা খোয়া, ২৪টা বালু এক বস্তা সিমেন্টের সাথে মিশানো হয়েছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম বলেন, ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের আসার কথা ছিলো কিন্তু আসেনি। ইঞ্জিনিয়ার সাহেব ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখেছেন এবং কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন। তারপর আমরা কাজ শুরু করেছি।
ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখে নির্মাণাধীন ভবনের সিঁড়ি ঢালাই করার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন নির্মাণ কাজের তদারকির দায়োত্বে থাকা উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারি প্রকৌশলী মো. নাঈমুর রহমান। তিনি বলেন, উপজেলায় তিনি একা। তার কোন ওয়ার্ক এ্যসিন্টে নেই তাই কাজের ব্যস্ততায় ওখানে যাওয়া হয়নি। তাই ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখে অনুমতি দিয়েছেন। তবে ৪০টা খোয়া, ২৪টা বালু এক বস্তা সিমেন্টের সাথে মিশানোর কথা জানালে তিনি বলেন, এরকম কাজ করে থাকলে সে কাজ ভেঙে আবার পুনরায় করা হবে।
উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের আগের তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবনের ছাদ সহ দুই তলা নির্মাণ। উক্ত ভবনের সাথেই এক কক্ষ ও এক টয়লেট বিশিষ্ট দুই তলা ভবন নির্মাণ কাজের জন্য এক কোটি দুই লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কাজটি চলমাণ রয়েছে। কাজটি করছেন রাজবাড়ীর মো. খলিলুর রহমান নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।