মোজাম্মেল হক লালটু , গোয়ালন্দ( রাজবাড়ী): রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সড়ক-মহাসড়ক ব্যবহার করে নদী, খাল ও ফসলি জমি থেকে অবাধে মাটি কেটে বিক্রি করছে ভূমিদুস্যু সিন্ডিকেট।
দিন-রাত ট্রাকে করে এসব মাটি বহন করায় ট্রাকের ঝাঁকুনিতে অনেক মাটি সড়ক ও মহাসড়কের উপর পড়ে নিয়মিত।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে হালকা বৃষ্টি হলে এ সকল সড়ক-মহাসড়ক ভিজে বিপদজনক পিচ্ছিল হয়ে যায়।
ঘনকুয়াশার মধ্যে পিচ্ছিল সড়কে চলতে গিয়ে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেলসহ হালকা যানবাহন উল্টে যায়। এতে সাধারণ যাত্রী ও চালকরা আহত হন। জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচলও চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এ সকল অবৈধ মাটি বহনকারি ট্রাক চলাচল বন্ধ না করা হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন স্হানীয়রা।
মাটি সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী সদস্য জিলাল মোল্লা , বেলায়েত হোসেন, খোকন ,শহিদ, বাহার সহ কয়েকজন দৌলতদিয়া কলাবাগান ও ফেরি ঘাট এলাকা থেকে অবৈধভাবে বেশ কিছুদিন ধরে এভাবে মাটি মাটি বিভিন্ন স্হানে বিক্রি করছেন। এভাবে তারা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
রিকশা চালক রমজান শেখ ও মনজু বেপারী জানান, মাটির গাড়ি চলাচলের জন্য মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক কাদাপানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এই রাস্তা দিয়ে পায়ে হেটে যাওয়া যাচ্ছে না। এতটা পিচ্ছিল হয়েছে যে, রিকশা-অটোরিকসা, মোটর সাইকেলও ঠিকমতো চালানো যাচ্ছে না।
মোটর সাইকেল চালক ছালাম ফকির ও অটোরিকশা চালক ফজলু মোল্লা বলেন, কাঁদামাটির সড়কে হালকা ব্রেক করলেও গাড়ি কাত হয়ে একদিকে চলে যাচ্ছে। নিয়ন্ত্রনে রাখা যাচ্ছে না। মাটির ট্রাক চলাচল বন্ধ করা খুব জরুরি।
রাজবাড়ীর আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.তরিকুল ইসলাম বলেন, মহাসড়ক দিয়ে মাটির ট্রাক চলাচলের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুর রহমান বলেন,অবৈধভাবে মাটি কাটার বিরুদ্ধে আমি নিয়মিত অভিযান চালিয়ে মাটির ট্রাক জব্দ ও জরিমানা করে আসছি। এতে করে বর্তমানে মাটিকাটা বন্ধ রয়েছে।