স্টাফ রিপোর্টার | ২২ জুলাই ২০২৫ : ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এতে ছাত্রছাত্রীসহ বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হন। এই হৃদয়বিদারক ঘটনার প্রেক্ষিতে বিরল মানবিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ঘটনার পরপরই সোমবার রাতে (২১ জুলাই ২০২৫) তারেক রহমান একাধিক তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের পূর্বনির্ধারিত র্যালি, বিএনপি মহিলা দলের ‘নারীদের অবদান’ শীর্ষক ফ্যাসিবাদবিরোধী অনুষ্ঠানের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি তিনি স্থগিত করেন।
এছাড়া জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন এবং পেশাজীবীদের আলোচনা সভায় দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন না করার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেন। সেই সভায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়।
তাৎক্ষণিক উদ্যোগ হিসেবে তারেক রহমান লন্ডন থেকে দলের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলামকে নির্দেশ দেন—উদ্ধারকারী টিম ও অ্যাম্বুলেন্সের বহর নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে। পুরো উদ্ধার অভিযান ও চিকিৎসা কার্যক্রমের সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য তিনি সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেন।
তার নির্দেশনায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলসহ দলের সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের জন্য রক্তদানের আহ্বান জানানো হয়েছে দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে।
সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন তারেক রহমান নিজে। সভায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক, আহতদের সুস্থতা কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করা হয়।
বিমান দুর্ঘটনা পরবর্তী চিকিৎসা ও সহায়তা কার্যক্রমের সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডাঃ মওদুদ হোসেন আলমগীর (পাভেল)-কে।
এই মানবিক ও তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের মাধ্যমে বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে—জাতীয় সংকট ও মানুষের দুঃসময়ে দল হিসেবে তারা মানুষের পাশে রয়েছে।