এস এম রাহাত হোসেন,ফারুক: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে ইটভাটা শ্রমিকদের মারধোর করে আটকে রেখে জোরপুর্বক কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে। পরে দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাদের উদ্ধার করেছেন। মারপিটে আহত ইটভাটার সর্দার শহিদুল ইসলাম (৪৬), আব্দুর রহমান (৪২), আবুজার (২২), জহির আলম (৩২), আফজাল হোসেন (২২) কে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সবার বাড়ী সাতক্ষিরা জেলার শ্যামমনগর এলাকায়।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টার সময় বালিয়াকান্দি উপজেলার বারমল্লিকা আরএন্ডবি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইটভাটার সর্দার শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের যে শর্তে ইটভাটায় আনা হয় তা পুরণ না করে রাতেও কাজ করানোর কারণে আমাদের শ্রমিকরা কাজ করতে অনিহা প্রকাশ করেন। কয়েকজন বাড়ী চলে গেছেন। এক লক্ষ টাকা আগাম দিয়েছিলেন এবং স্ট্যাম্প ও চেক গ্রহণ করে ইটভাটা মালিক।
তাদের আচরণে ও টাকা না দেওয়ায় আমরা কাজ না করে তাদের কাছে পাওনা ৭০ হাজার টাকা কেটে রেখে চেক স্ট্যাম্প ফেরত চাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইটভাটা মালিক নাসির, নজরুল সহ তাদের ম্যানেজার রফিক, সোহেলসহ ৭-৮জন মিলে হাতুরী, কাঠের চলা, রড দিয়ে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে আটকে রাখে। এসময় আমাদের অন্যান্য শ্রমিকরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে দুই চেয়ারম্যান এসে উদ্ধার করে ৫জনকে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি করে এবং অন্যান্যদেরকে কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের আশ্রয় দিয়েছেন।
মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় নেওয়া মাসুদুল ও রেবেকা বলেন, আমাদের সবাইকে মারধোর করে আটকে রাখে। ৫জনকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। বাকীরা ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় নিয়েছি।
ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী মাষ্টার বলেন, মদাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুরম রহমান আমাকে শ্রমিকদের মারধোর করে আটকে রাখার খবর দেন। পরে দুইজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকে রাখা শ্রমিকদের উদ্ধার করে আহত ৫জনকে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করি। অন্যান্যদের মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদে রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইটভাটা মালিক নাসির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।’